মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: দেশ,কাল, ধর্ম,বর্ন জাতিভেদ ভুলে বায়লা এখন মেতে উঠেছে শারদীয়া উৎসবের আনন্দে। তাদ নেই নদিয়া জেলাও। নদীয়া জেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাজদিয়ার নাঘাটা এলাকায় এবছরের ভাবনা বাড়িয়ে দাও তোমার হাত। কলকাতা থেকে নাঘাটার দুরত্ব ১১০ কিমি। বাঙলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এই পূজা মন্ডপের প্রবেশের পথের ধারে শোভা পেয়েছে ক্ষুদার্ত শিশুর আর্তনাদ।খিদের জ্বালায় শিশু বেছে নিয়েছে ভিক্ষাবৃত্তি , যদিও পথচলতি মানুষ শিশুর করুন আর্তনাদে বাড়িয়ে দিচ্ছে সাহায্যের হাত।এদৃশ্য যেমন সকলকে মুগ্ধ করেছে পাশাপাশি লকডাউনের জেড়ে বন্ধ স্কুল কলেজ সরকারের সিদ্ধান্তে ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে মানবিক শিক্ষক গ্রামের গাছ তলায় পড়াশোনা করাচ্ছেন এমন ছবিও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। করোনা রোগীকে এবং তাদের পরিবারকে সাহায্য করতে নীজেদের জীবনের ঝুকি নিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে রেড় ভলেন্টিয়ার্স। সেই প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে। রক্ত দান মহৎ দান, রক্ত দিয়ে প্রান বাঁচান এছবি যেমন ধরা পড়েছে,পাশাপাশি সাধারণ মানুষের জীবনে দুয়ারে সরকার, কিভাবে খ্যাতি লাভ করেছে সেটাও তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়াও কন্যাশ্রী ,এস সি এস,টি ওবিসি সার্টিফিকেট,দুয়ারে রেশন,স্বাস্হ্য সাথী,সর্বশেষ নিদর্শন লক্ষী ভান্ডার পূজা মন্ডপের মাঠ কে আলোকিত করে রয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর খারাপ ব্যবহার করা হয়েছে, তার প্রতিবাদ স্বরুপ নিন্দা ও চিকিৎসকের সাথে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে । এছাড়াও ভারতবর্ষ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ তার ছবি স্পষ্ট ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এখানে হিন্দু, মুসলমান,জৈন, খ্রীষ্টান সম্প্রদায়ের ঐক্য , একসঙ্গে বসবাস ও কোলাকুলির এভাবনা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশ্বের মানবাধিকার কমিশনকে নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
একের পর এক সমসাময়িক ঘটনা দেখতে দেখতে মুল পূজা মন্ডপের সামনে প্রবেশ করবে । মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার দোতলার মাটির বাড়ির আদলে । তবে অবশ্যই মাক্মপড়ে ,নীজ দৃরত্ব বজায় রেখে।কমিটির পক্ষ থেকে সদা সর্বদা মাইকিং প্রচার হচ্ছে নীজে সুস্থ থাকুন,অপর কে সুস্থ রাখতে বাড়িয়ে দাও হাত। দূর্গার এক হাতে তিরশুল অন্য হাতে করোনা ওসুর বধ। একহাতে আম্রপল্লব,অন্য হাতে গঙ্গা জল দেখলে মনে হবে করোনা কে দূর করতে শান্তি র জলে করোনা দূরিকরনে।প্রতিবছর নাঘাটা গ্রামের বারোয়ারী অভিনবত্বে নজর কাড়ে।বাজারে ,চায়ের দোকানে, মাঠে ঘাটে আলোচনায় তাদের চিন্তা ভাবনা নিয়ে।তবে পূজা কমিটির সভাপতি তিতাস বিশ্বাস বলেন আমরা নিজেরাই পরিশ্রম করে এই থিম তৈরি করেছি।এরমধ্যেই প্রচুর পুরস্কার তাদের ঝুলিতে চলে এসেছে । তাদের আরো দাবি এবছরও অন্যান্য বছরের ন্যায় বিশ্ববাঙলার শ্রেষ্ঠ পুরস্কার তাদের ঝুলিতেই আসবে। তাদের দাবি এই জন্যই তাদের থিমের সার্থক নাম বাড়িয়ে দাও তোমার হাত পথচলতি অফিস যাত্রীদের দিকে হাত বাড়িয়ে ক্ষুধার্ত শিশু বলছে আমায় কিছু দান করো বাবু দান করতে উদ্যত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct