আপনজন ডেস্ক: সেই ১৯৬৭ সাল থেকে ভারতে বসবাস করছেন ৮০ বছর বয়সি ভান্ডারী দাস। বিগত পাঁচ দশক ধরে স্বামী সন্তানদের নিয়ে অসমের শিলচরে খুশিতে রয়েছেন। ফলে আজও পর্যন্ত তার মনে প্রশ্ন জাগেনি যে তিনি ভারতীয় নন। তবে বছর তিনেক আগে হঠাৎ তার বাড়িতে আসে নোটিশ। পুলিশের নাকি তাকে বিদেশি বলে সন্দেহ হয়েছে। তাই নিজেকে ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ভান্ডারী দাস কে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার কথা বলেন। এনআরসির জন্য সমস্ত নথি জমা দিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে। তিনি প্রমাণ করেন ১৯৬৭ সাল থেকেই এদেশে বসবাস করছেন। এমনকি ১৯৭১ সালের নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। যা দেখে বিচারকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তার পরেও ৮০ ছুঁইছুঁই ভান্ডারী দাসকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি এখনো ভারতীয় হয়ে উঠতে পারেননি। নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য এখন তাকে নতুন করে আবেদন করতে হবে।
এ ব্যাপারে আদালতের সদস্য বিচারক বি কে তালুকদার জানিয়েছেন, ১৯৭১ সালের পরে যারা ভারতে এসেছেন তারা বিদেশী। অবৈধভাবে ভারতে আসার জন্য তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। শাস্তি শেষে তাদের দেশের বাইরে তাড়িয়ে দেওয়া হবে। যারা ১৯৬৬ সালের মধ্যে ভারতে এসেছেন তারাও বিদেশি। তবে তাদের শাস্তি কিংবা অন্য দেশে তাড়িয়ে দেওয়ার আশঙ্কা নেই। নাগরিকত্বের জন্য তাদের আবেদন জানানোর সুযোগ থাকবে। মঞ্জুর হলে আবেদন জানানোর ১০ বছর পর নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। এমনটা শুনে বয়স্ক ভান্ডারী দাস যেন আকাশ থেকে পড়লেন।
তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন, 'এতদিন এ দেশে কাটানোর পর আমাকে এখন ভারতের নাগরিক হ্ওয়ার প্রমাণ দিতে হবে। এখন আমি দশ বছর বাঁচব কিনা জানিনা, তা সত্ত্বেও আমাকে বাধ্য হয়ে এদেশের নাগরিক হওয়ার প্রমাণ দিতে হবে।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct