আপনজন ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করানোর সাধারণ রেওয়াজ ছিল অধ্যক্ষ শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কিন্তু সেই রীতি ভেঙে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর সংবিধানের ১৮৮ ধারায় নিজেই শপথবাক্য পাঠ করালেন বিধায়কদের। বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদ রাজ্যপাল তিন তৃণমূল বিধায়ক ভবানীপুরের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জঙ্গিপুরের জাকির হোসেন ও শামসেরগঞ্জের আমিরুল ইসলাম। তিনজনই বাংলা ভাষায় শপথ নিলেন।
তবে, তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এদিনের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিরোধী দল বিজেপি অসৌজন্যতার পরিচয় দিয়ে হাজির থাকেনি। অথচ, দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসানের পর ২০১১ সালে যখন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ নিয়েছিলেন তখন তখন সিপিআইএম নেতারা সেই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সৌজন্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাদের যথাযোগ্য সম্মান জানিয়েছিলেন। উপবিষ্ট বিমান বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে নমস্কার করতে দেখা গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ৩৪ বছর শাসনে থাকার পর বিরোধী দল হয়ে যাওয়ার পরও বামেরা সৌজন্যতা দেখালেও বিজেপি তা দেখাতে পারল না। তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তিন বিধায়কের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেন না। তারা রাজনৈতিক সৌজন্যতার কথা ভুলে গিয়ে বৈরিতার পথকেই বেছে নিল। অথচ, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদেরও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু মমতার রেকর্ড ভোটে জয়ের পর তাদের উপিস্থিতি দেখা গেল না।
তবে, কয়েকজন বিধায়কের মৃত্যু ও বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পদত্যাগের ফলে কমে যাওয়া তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা আবারও বেড়ে হয়েছে ২১৩। আর চারটি আসন দিনহাটা, শান্তিপুর, খড়দহ এবং গোসাবায় আগামী ৩০ অক্টোবর উপনির্বাচন হবে।তাই তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই ধারণা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct