আপনজন ডেস্ক: প্রথমবারের মতো শুরা কাউন্সিল বা আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে কাতারে। ওই নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন ২৬ জন মহিলা প্রার্থী। কিন্তু কেউই জিততে পারেননি।
৩০টি আসনে ভোট হয়। কাতারের আমির বাকি ১৫টি আসনে জনপ্রতিনিধি নিয়োগ করবেন।
কাতারের আইনসভার প্রথম এ নির্বাচন দৃঢ়প্রত্যয়ী নারীদের অনেকটা হতাশ করেছে। বিশেষ করে যেসব নারী প্রার্থী দেশটির নারীদের হয়ে কথা বলা, তাদের অধিকার আদায় এবং অন্য কাতারি নাগরিকদের জন্য কাজ করতে চান, তারা এগিয়ে যেতে পারছেন না।
নতুন আইন অনুযায়ী, আইনসভার নির্বাচনে ৪৫ সদস্যের শুরা কাউন্সিলের ৩০ সদস্য নির্বাচিত হবেন। আইনসভার এই ৩০ আসনের জন্য লড়াই করছেন ২৮৪ জন প্রার্থী। শুরা কাউন্সিলের বাকি ১৫ আসনে কাতারের আমির নিজেই প্রতিনিধি নিয়োগ দেবেন।
নির্বাচনে অংশ নেওয়া আইশা হামাম আল জসিম (৫৯) বলেন, সব পুরুষ প্রার্থীকে জয়ী করা কাতারের লক্ষ্য না। তিনি দোহার মারখিয়া জেলা থেকে ভোটে লড়ছেন। নারীরা যা বিশ্বাস করেন তার ওপর জোর দেওয়ার জন্য তিনি সব নারীকে আহ্বান জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে শক্তিশালী নারী প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো কাতারের রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণের সুযোগ হয়েছে। তবে অনেকেই মনে করেন, নারীদের নির্বাচনে দাঁড়ানো উচিত নয়।
৩৪ বছর বয়সী শিল্প প্রকৌশলী আল-মাহা আল-মজিদ নির্বাচনকেন্দ্রিক মন-মানসিকতা পরিবর্তনের জন্য প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘পুরুষদের (নারী প্রার্থীদের ভোট দিতে) বোঝানোর জন্য আমাদের নানা কাজ বা অতিরিক্ত পরিশ্রম করা লাগতে পারে। আমি এই অতিরিক্ত প্রচেষ্টা শুরু করতে চাই এবং এই সমাজকে বোঝাতে চাই যে নারীরা এসব করতে পারেন।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct