কর্ণফুলি ফার্টিলাইজার ফ্যাক্টরির (কাফকো) আদলে বাংলাদেশ, জাপান ও ইরানের যৌথ উদ্যোগে ইরানে একটি ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত মাসাতো ওয়াতানাবে।এ সার কারখানা স্থাপনের জন্য জাপান সরকার সম্মত রয়েছে। এটি স্থাপিত হলে, সংশ্লিষ্ট তিন দেশই আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। জাপানের রাষ্ট্রদূত বৃহস্পতিবার শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সঙ্গে বৈঠককালে এ প্রস্তাব দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী জাপানের উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প-কারখানা বাংলাদেশে স্থানান্তরের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় সনি কর্পোরেশনের কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এটি বাংলাদেশে স্থানান্তরের সুযোগ রয়েছে। এ কারখানায় কর্মরত অধিকাংশ শ্রমিক বাংলাদেশি ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে এটি স্থানান্তর হলে সহজেই দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যাবে। তিনি কর্ণফুলি পেপার মিলস্ (কেপিএম), রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল, ডিএপি সার কারখানাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন কারখানার খালি জায়গায় যৌথ বিনিয়োগে শিল্প স্থাপনে এগিয়ে আসতে রাষ্ট্রদূতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বাংলাদেশে অটোমোবাইলসহ উদীয়মান এসএমই শিল্পখাতে জাপানি উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। ইরানে বহুজাতিক বিনিয়োগে ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের বিষয়টি কায়রোতে অনুষ্ঠেয় পঞ্চম ডি-৮ শিল্পমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে আলোচনা হবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান। জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও জাপানের যৌথ বিনিয়োগে স্থাপিত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ হোন্ডা প্রাইভেট লি. এর কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে নির্ধারিত সম্পূরক শুল্ক কমানোর জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।