নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: ১৫ হাজার করে কাটমানি দিয়ে প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তির টাকা পেয়েছেন দুই উপভোক্তা।তৃতীয় কিস্তির টাকা পেতে গেলে আরো দিতে হবে কাটমানি।না হলে তৃতীয় কিস্তির টাকা পাবে না এবং ঘরের তালিকা থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হবে।এমনই অভিযোগ উঠেছে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি পঙ্কজ কুমার দাসের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিসে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তিলডাঙি গ্রামের দুই বাসিন্দা নরহরি দাস ও পালালু দাস।
একই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বারবার কাটমানি ইস্যুতে অস্বস্তির মুখে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল।এর আগেও শাসকদলের বিরুদ্ধে কাটমানি ইস্যুতে সরব হয়েছে বিরোধীরা।এবার খোদ গ্রামবাসীদের মুখেই শোনা গেল এই সমস্যার কথা।
দুই অভিযোগকারী বলেন ‘১৫০০০ হাজার টাকা কাটমানির নিয়ে ঘরের দুটো কিস্তির টাকা পাইয়ে দিয়েছে পঙ্কজ কুমার দাস এবং তৃতীয় কিস্তির টাকা ঢোকানোর নাম করে বর্তমানে আমাদের কাছে আরো ৫০০০ টাকা এবং জব কার্ড করিয়ে দেওয়ার নাম করে আরো ৫০০০ টাকা চাইছে। আমরা টাকা দিতে অস্বীকার করলে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকাবে না এবং ঘরের লিস্ট থেকে নাম বাদ দিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।তৃতীয় কিস্তির টাকা দুই বছর ধরে ঢুকছে না। ঘর অসম্পূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আমরা ভাঙ্গাচুরা ঘরেই দিন গুজরান করছি। আমরা সেভাবে রাজনীতির সঙ্গে নই। রাজনীতি েআমরা নেই। তাই আমাদের উপর এভাবে অত্যাচার করছে। অভিযোগ জানানোর পরে হুমকি দিচ্ছে পঙ্কজ কুমার দাসের লোকজন।’ মহকুমাশাসক কল্লোল রায় জানান এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি ঘটনা সত্যি হয় তাহলে অবশ্যই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অঞ্চল সভাপতি পঙ্কজ কুমার দাস জানান সম্পূর্ণ অভিযোগ ভিত্তিহীন। টাকা নেওয়ার কোন প্রশ্নই নেই। ব্লক থেকেই তৃতীয় কিস্তির টাকা ছাড়া হয়নি তো আমি কি করবো।
তৃণমূলের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লক সভাপতি মানিক দাস জানান বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে আমরা দলের উর্দ্ধতন নেতৃত্ব কে জানিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার দল নেবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct