নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: স্বামীর হাত-পা ভেঙে এবং মাথা থেঁতলে নৃশংসভাবে খুন করার পর বাড়ির সিঁড়ির নিচে দেহ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে স্ত্রী সহ স্বামীর পিসতুতো দাদার বিরুদ্ধে।ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডেইলি মার্কেট এলাকায়।এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত যুবকের নাম রাম মুসোহর (৩৭)।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের ডেইলি মার্কেটে।পরকিয়া ও সম্পত্তির জেরেই এই খুন বলে মনে করছে পুলিশ।গ্রেফতার করেছে দুই অভিযুক্ত সহ ছেলেকেও।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় রাম মুসোহর নিয়মিত মদ্যপান করার কারণে স্ত্রী পঞ্চমী মুসোহরের সঙ্গে হামেশাই বিবাদ লেগে থাকত।ছেলে বাপী মুসোহরের সঙ্গেও বিবাদ ছিল বাবার।বাবা ও ছেলে রঙ মিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাত।কিন্তু এরইমধ্যে তাঁর পিসতুতো দাদা মনোজ রাম দিল্লি থেকে হঠাৎ হরিশ্চন্দ্রপুরে এসে রঙ মিস্ত্রির কাজ শুরু করে বলে খবর।তার ব্যবসাও বেশ ভালোই চলছিল। তারপরে রাম ও পঞ্চমীদের বাড়িতেই থাকতে শুরু করে মনোজ রাম।এরপরেই পঞ্চমী মুসোহরের সঙ্গে মনোজ রামের অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহের দানা বাঁধতে থাকে।পরিবারে শুরু হয় অশান্তি।এতে মদপান আরও বেড়ে যায় রামের। কাজকর্ম ছেড়ে দেয়।পরিবারে শুরু হয় অভাব-অনটন।সংসার চালাতো মনোজ রাম।সাহায্য করত ছেলে বাপিও।এরপরে বাড়ি বিক্রি করে অন্যত্র চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করে পঞ্চমী ও মনোজ। আর সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় রাম।এই নিয়ে কদিন ধরেই অশান্তি তারপর খুন।
দেহ লোপাটের জন্যে একটি গাড়ির খোঁজ করছিল মনোজ।এতে এলাকাবাসীর সন্দেহ হওয়ায় তাদের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পাই সিঁড়ির নিচে রক্তাক্ত অবস্থায় লুকানো রয়েছে রামের মৃত দেহ।এরপরেই উত্তেজনা ছড়ায়।খবর পেয়ে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি শাবল,গাঁইতি ও দা প্রভৃতি অস্ত্র উদ্ধার হয় ঘর থেকে।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান মৃত দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।কি কারণে খুন করা হয়েছে তা তদন্ত চলছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct