সাদ্দাম হোসেন মিদ্দে, ভাঙড়: প্রবল বর্ষণে জলমগ্ন গোটা ভাঙড়। ডুবেছে সবজি ক্ষেত, ভেঙেছে পুকুরের পাড়। রাস্তায় উঠেছে জল, জমা জলে মাছ ধরতে দেখা গেছে। সোমবার বিকেলে বৃষ্টি মাথায় এলাকা পরিদর্শন করেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। দূর্গতদের জন্য ব্যাবস্থা গ্রহন ভাঙড় ১ ও ২ ব্লক প্রশাসনের।
রবিবার রাতে ও সোমবার দুপুরে অতি বর্ষণে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার অন্যান্য অংশের মতো জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ভাঙড়। ভাঙড় ১ ও ২ ব্লকের বিভিন্ন গ্রামে জল জমে আছে। হাঁটু জল বাড়ীর উঠানে, কোথাও আবার বারান্দায় উঠেছে জল। জল জমেছে রাস্তার উপরে। ভেসেছে সবজি ক্ষেত, একাকার হয়ে গেছে পুকুর, জলকর। ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। এদিন তিনি প্রথমে আসেন ভাঙড় ১ ব্লকের ভোজেরহাটে।
সেখানে তিনি ভাঙড় ১ ব্লক তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ওহেদালী শেখের উদ্দোগে শুকনো খাবার, ছাতা ও ত্রিপল বিতরণ করেন। তারপর তিনি মরিচা গ্রামে আসেন। সেখানে তিনি জুতো খুলে নোংরা জলেই নেমে পড়েন। কাদা-জল মেখে তিনি মানুষের দুর্দশার কথা শোনেন। সঙ্গে ছিলেন ভাঙড় ১ এ তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজার আহমেদ, কর্মাধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
অন্য দিকে তিনি ভাঙড় ২ ব্লকের চড়িশ্বর গ্রামে যান। সেখানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ত্রিপল বিতরণ করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলাম, উপপ্রধান হাকিমুল ইসলাম, কর্মাধ্যক্ষ মোমিনুল মোল্লা প্রমুখ।
ভাঙড় ২ ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে দূর্গতদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনটি ত্রাণ শিবিরে তাদের আপাতত রাখা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিকভাবে ত্রিপলের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। ভাঙড় ১ ব্লকের প্রশাসনও নানা ব্যাবস্থা নিচ্ছে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য।
এদিন মিমি চক্রবর্তী বলেন, “ আমরা রিলিফের ব্যাবস্থা করছি। রিলিফ আপাতত ভরসা। বাকিটা উপর ওয়ালা রয়েছেন।” আরাবুল ইসলাম বলেন, “ মানুষকে প্রথমে বাঁচানোর চেষ্টা করছি। তারপর কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতি নিরুপন করে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct