আপনজন ডেস্ক: পাঞ্জাব নিয়ে কংগ্রেস অস্বস্তির মধ্যে পড়লেও তাদেরকে খুশির খবর বয়ে আনলেন ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার ও দলিত নেতা জিগনেশ মেভানি। দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও তরুণ নেতা কানহাইয়া কুমার সিপিআইয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও লাইন পাল্টাচ্ছেন। বিহারের ভোটে সিপিআইয়ের হয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেও তার একটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। এবার উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের আগে কানহাইয়া কুমার যোগ দিতে চলেছেন কংগ্রেসে।
শুধু কানহাইয়া নন, কংগ্রেসের আরও এক বড় প্রাপ্তি হতে চলেছে গুজরাতের জনপ্রিয় দলিত নেতা তথা নির্দল বিধায়ক জিগনেশ মেভানি। ২০২০ সালে বিধানসভার নির্বাচন গুজরাতে। তার আগে জিগেনশ মেভানি কংগ্রেসে যোগ দিলে তা বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে। প্রথমে কথা ছিল এই দুই তরুণ নেতা ২৮ সেপ্টেম্বর ভগৎ সিংয়ের জন্মদিনে কংগ্রেসে যোগ দেবেন। পরে দির পরিবর্তন করা হয়। কংগ্রেস সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কংগ্রেসে যোগ দেবেন এই দুই নেতা।
উল্লেখ্য, কানহাইয়া কুমার জওহারলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। যদিও সেই অভিযোগের কোনো সত্যতা মেলেনি এবং তিনি জামিনে মুক্ত হন। তার মুক্তির দাবিতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। তার ‘আজাদী’ স্লোগান মোদি বিরোধী দলগুলোরও অন্যতম স্লোগান হয়ে ওঠে।
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে সিপিআইয়ের হয়ে নির্বাচনে লড়েছিলেন এই তরুণ নেতা। বিহারের বেগুরাসি আসনে বিজেপির গিরিরাজ সিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়ান। নির্বাচনে হারলেও বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। সে সময় তার পক্ষে নির্বাচনী প্রচার চালিয়েছিলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত কবি ও গীতিকার জাভেদ আখতার, বলিউড অভিনেত্রী শাবানা আজমি।
জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দুইবার সাক্ষাৎ করেছেন কানহাইয়া। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গেও তিনি সাক্ষাৎ করেন। এর পরেই কংগ্রেসে যাওয়ার বিষযে মনস্থির করেন কানহাইয়া।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct