আপনজন ডেস্ক: স্বামী সাবেদ আলী অনেক আগেই মারা গিয়েছেন। তার শেষ চিহ্ন বলতে চোখের সামনে থাকা কবর। তিস্তার ভাঙনের ফলে সেই কবর এখন নিঃচিহ্নের মুখে। আর সেই আশঙ্কা নিয়ে কবরের পাশে সারারাত বসে থাকলেন স্ত্রী বিবিজন। স্বামীর শেষ চিহ্নটুকু হারানোর আশঙ্কায় দিশেহারা তিনি। রাতদিন তাকিয়ে থাকছেন ভাঙনের মুখে থাকা প্রিয়জনের কবরটির দিকে। দীর্ঘ দুই মাস ধরে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার শত শত পরিবারের বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আগ্রাসী ভাঙনের মুখে ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াসাম মৌজার বগুড়াপাড়া এলাকার গৃহবধূ বিবিজনের স্বামী সাবেদ আলীর কবরও। স্থানীয়রা শত চেষ্টা চালান কবরটি রক্ষার জন্য।
কিন্তু তিস্তার কাছে যেন হার মেনেছেন সবাই। ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, দুই মাস ধরে তিস্তার অব্যাহত ভাঙনে কোনো কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না। কিন্তু ভাঙন ঠেকাতে এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি জল উন্নয়ন বোর্ড। তিনি বলেন, ‘অসংখ্য কবর নদীগর্ভে চলে গেছে। না জানি কখন ওই বিবিজনের স্বামীর কবরও নদীগর্ভে চলে যায়।’
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct