আপনজন ডেস্ক: আফগানিস্তানে তালিবানের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এ সময়ে নগদ অর্থ সরবরাহ কম গিয়ে দেশটির অর্থনীতির সংকট আরও গভীর হয়েছে। একই সাথে জীবনের নানা ক্ষেত্রেও তালিবান শাসনের প্রভাব দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে সেখানে।
আফগানিস্তান-উজবেকিস্তান সীমান্তে গিয়েছিলেন বিবিসির সংবাদদাতা সেকুন্দার কারমানি। সেখানে একটি সেতু পেরিয়ে নতুন ‘ইসলামিক আমিরাতে’ ঢুকছিলো একটি মালবাহী কার্গো ট্রেন।সীমান্তে উজবেকদের উল্টো দিকে তালিবানের সাদা কালো পতাকা উড়ছিলো। কিছু ব্যবসায়ী তালিবানের ক্ষমতায় ফিরে আসাকে স্বাগত জানিয়েছে।
গম বোঝাই একটি ট্রাকের চালক বিবিসি সংবাদদাতাকে বলেন যে এর আগে চেকপয়েন্ট পার হওয়ার সময় দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হতো। ‘এখন আর সেটি নেই। আমি কাবুলের পথে ড্রাইভ করে যেতে পারি কোন পয়সা না দিয়েই,’ বলছিলেন তিনি।হাইরাতান বন্দরে তালিবানের হেড অফ কাস্টমস মৌলভী সাইদ বলছেন, বাণিজ্য বাড়াতে তারা শুল্ক কমিয়ে দিচ্ছেন এবং সম্পদশালী ব্যবসায়ীরা দেশে ফিরুক, সেটিকে তারা উৎসাহিত করতে চান। ‘এটি কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়াবে। আর পরবর্তী জীবনে ব্যবসায়ীরা পুরস্কৃত হবেন,’ বলছিলেন তিনি।
দেশটির চতুর্থ বৃহত্তম শহর মাজার ই শরীফ থেকে এক ঘণ্টা ড্রাইভ দূরত্বে মানুষের জীবনযাত্রা মনে হল স্বাভাবিক, যদিও অনেকে অর্থনৈতিক সংকটে ভুগছেন। স্থানীয় প্রভাবশালী তালিবান নেতা হাজী হেকমতে েদুিব, ‘গত বিশ বছরে এখানে পশ্চিমা প্রভাব ছিল। চল্লিশ বছর আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ এক বিদেশী থেকে আরেক বিদেশীর কাছে গেছে। আমরা নিজস্ব ঐতিহ্য ও মূল্যবোধকে হারিয়েছি। এখন আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনছি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct