আপনজন ডেস্ক: রাজ্যসভার সদস্য পদে অসমের সুস্মিতা দেবকে মনোনায়ন দিল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবাংলায় শূন্য থাকা রাজ্যসভার আসনে সুস্মিতা দেবকে মনোনয়ন দিয়ে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে আরও সক্রিয় হওযার বার্তা দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
কেন্দ্রে যখন সোনিয়া গান্ধির সঙ্গে বৈঠকে বসে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি বিরোধী জোট শক্ত করার প্রক্রিয়া চলে, তখন অসমের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেস থেকে সসম্ত পদে ইস্তফা দিয়ে সুস্মিতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর তেকেই জল্পনা চলছিল, তিনি তৃণমূলে কোনও বড় পদ পেতে পারেন।
সুস্মিতা দেব শিলচর থেকে কংগ্রেসের সাংসদ হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একদা সর্বভারতীয় মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী। এছাড়া প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের কন্যা হিসেবেও তার পরিচিত রয়েছে অসমে। সেটাই মমতাকে আকর্ষিত করে। বিশেষ করে ত্রিপুরার পর মমতার নজর অসমের বিজেপি সরকারের উপর পড়তে পারে। সেটার আঁচ পাওয়া যায় সেুস্মিতার তৃণমূলে যোগদানে। ভবিষ্যতে যে সুস্মিতাকে অসম তৃণমূলের হাতিয়ার করতে চান মমতা রাজ্যসভায় প্রার্থী করে তা বুঝিয়ে দিলেন।
মানস ভুঁইয়ার ছেড়ে যাওয়া আসনে জোড়াফুলের প্রার্থী হলেন সুস্মিতা দেব। বাংলা থেকে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন মানস ভুঁইয়া। গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় সাংসদ পদ ছাড়তে হয় মানস ভুঁইয়াকে।
তবে রাজ্যসবায প্রার্থী করায় তৃণমূলে গুরুত্ব আরও বাড়ল সুস্মিতা দেবের। আসন্ন রাজ্যসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী করেছে সুস্মিতা দেবকে। পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সুস্মিতাকে সংসদের উচ্চকক্ষে নিয়ে যেতে সচেষ্ট তৃণমূল। দলের তরফে এদিনই সুস্মিতাকে রাজ্যসভার ভোটে প্রার্থী করার বিষয়টি ট্যুইট করে জানানো হয়েছে। সুস্মিতাও ট্যুইটারে মমতা ও তৃণমূলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ৪ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ-সহ তামিলনাড়ু, অসম, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশে রাজ্যসভার ৬টি ফাঁকা আসনে উপনির্বাচন হবে। উপনির্বাচনের দিনই ওই ৬ আসনে ভোটের ফলও ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। উপনির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ২২ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct