আপনজন ডেস্ক: ভবানীপুর উপনির্বাচনকে হালকাভাবে নিচ্ছে না তৃণমূল। বিজেপি যেভাবে আদাজল খেয়ে লেগেছে তাতে সামান্যতম ফাঁকফোকর রাখতে চাইছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুকে তাই কর্মীদের উজ্জীবিত করতে এখন থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালে যখন শুভেন্দুকে নিয়ে আলিপুরের সার্ভে বিল্ডিংয়ে মনোনায়ন জমা দিতে গেলেন তখন ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে জনসংযোগে নেমে পড়লেন মমতা।
এবারে করোনার কারণে জনসমাবেশ মানা থাকায় এবার ছোট ছোট স্টিট কর্নারের দিকে মন দিতে চায় তৃণমূল।
সোমবার নবান্ন থেকে বড়ি ফেরার পথে তাই আর চুপ করে বসে থাকেননি মমতা। অনুগত সৈনিক ফিরহাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে চলে গেলেন ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডটি খিদিরপুর এলাকায়। সেখানে আড্ডার মেজাজে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে দেখা করলেন। খোঁজ নিলেন। তাদের কুশল জানালেন।
কী পরিস্থিতিতে তারা রযেছেন সেসবও অকপটে জিজ্ঞেস করলেন। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় রয়েছে ঐতিহ্যময় ষোলোআনা মসজিদ। মসজিদে গিয়ে শুধু ইমামের সঙ্গেই কথা বললেন না সেখানকার মুসল্লিদের সঙ্গেও কথা বলে তাদের নানা খোঁজখবর নিতেও সৌজন্যতা দেখাতে ভুল করলেন না। তবে, এলাকার সংখ্যালঘুদের মাঝে গিয়ে যেমন কুশল বিনিময় করেন, তেমনি হাজির হন খিদিরপুরের ২৫ পল্লি দুর্গা পুজোর পাড়ায়ও গেলেন।
এদিনের নীরবে প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেধ্যে বিশেষ বার্তা দিলেন প্রচারের ধরন নিয়ে। দিন কয়েক আগে চেতলায় প্রথম কর্মীসভায় মমতা দলীয় কর্মীদের প্রতি বলেছিলেন, দিদি জিতে যাবে বলে ঘরে বসে থাকলে চলবে না।
আসলে কোনও নির্বাচনকেই হালকা ভাবে নিতে চান না যে মমতা তার বার বার বুঝিয়ে দিয়েছেন।িএদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। খিদিরপুরে প্রচারে গিয়ে মমতা ইঙ্গিত দিলেন বিজেপিকে তিনি কোনওভাবেই হালকা চালে নিচ্ছেন না। মমতার লক্ষ্য ২০২১১ ও ২০১৬ সালের মতো বিশাল ব্যবধানকে আরও বৃদ্ধি করা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct