আপনজন ডেস্ক: দেশের সংখ্যালঘু জনগণের নানা অভাব অভিযোগ নিষ্পত্তি করার লক্ষ্যে গঠিত হয় জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। সেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে শুরু করে নানা পদ দীর্ঘদিন ধরে খালি ছিল।
এ নিয়ে মামলাও হয়। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছে প্রাক্তন আইপিএস সরদার ইকবাল সিং লালপুরাকে। লালপুরা এর আগে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ছিলেন।
কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভির উপস্থিতিতে বিজেপির প্রাক্তন জাতীয় মুখপাত্র সর্দার ইকবাল সিং লালপুরা জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন বা ন্যাশনাল মাইনরিটি কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ইকবাল সিং লালপুরা চেয়ারম্যান হিসেবে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই তিনি জনগণের অভিযোগ শুনতে শুরু করেছেন।
লালপুরা জানান, বিচারাধীন মামলাগুলি দ্রুত সমাধান করা তার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যেহেতু চেয়ারম্যানের পদটি দীর্ঘদিন ধরে খালি ছিল, তাই জেলা ও রাজ্য স্তরে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ন্যায়বিচার দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
কমিশন সূত্র অনুযায়ী, ৫০০টিরও বেশি মামলা কমিশনের কাছে বিচারাধীন রয়েছে।
এ িনয়ে নয়া চেয়ারম্যান লালপুরা জানান, মোট ৫২৪টি অভিযোগ বিচারাধীন রয়েছে। দিল্লিতে সবচেয়ে বেশি বিচারাধীন মামলা রয়েছে— ১৮৭টি। অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, বিহার এবং অন্যান্য রাজ্যের ঘটনাও বিচারাধীন রয়েছে, যার উপর আমরা শীঘ্রই কাজ শুরু করব। তিনি আরও জানান, তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সাথে মুখপাত্র হিসেবে যুক্ত ছিলেন। সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যানের পদে বসেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গাইরুল হাসান রিজভী সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন, যার মেয়াদ ২০২০ সালের মে মাসে শেষ হয়। তার পর থেকে সাত সদস্যের কমিশনে শুধুমাত্র ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান আতিফ রশিদ। এবার চেয়ারম্যানের পদ পূরণ হলেও এখন পাঁচজন সদস্য নির্বাচন বাকি রয়েছে।
সাধারণত মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ ও পার্সি সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে প্রতিনিধিরা সংখ্যালঘু কমিশনের কমিটিতে স্থান পান। দেশের সংখ্যালঘুদের উপর নানা অন্যায়, নিপীড়ন ও বঞ্চনার অভিযোগ থাকলে তা বিবেচনা করে দেখে এই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের কমিটি গঠনে দীর্ঘদিন অনীহা দেখানোয় সংখ্যালঘুদের নানা সমস্যার কথা আর জাতীয় কমিশনের উত্থাপিত হচ্ছিল না। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামল্য় দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি রেখা পল্লি কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য পদাধিকার নির্বাচিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার সেই নির্দেশ পালন করল।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct