নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের ছবি তুলতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেনা খাতুন (২৫) ও আখতারি খাতুন (৩১) সহ মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক মহিলা। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য পরিবারের সদস্যরা ছবি তুলেনি অথচ তারা নাকি কার্ড হাতে পেয়ে গেছে বলে জানতে পারেন স্বাস্থ্য সাথী ক্যাম্প গিয়ে। কার্ড না পেয়ে নিরাশ হয়ে বাড়ি ফিরে আসতে হয়েছে তাদের। কার্ড ছাড়া লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে কিভাবে আবেদন করবেন তা তারা দিশেহারা।এক গৃহবধূ আখতারি খাতুন জানান গত বছর ৫ ডিসেম্বর মহেন্দ্রপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। অনলাইন থেকে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের স্ট্যাটাস বার করে ছবি তুলতে গেলে ক্যাম্প থেকে জানতে পারেন তার নামে কার্ড হয়ে গেছে। কিভাবে তার নামে কার্ড হল তা তিনি কিছুই বুঝতে পারছেন না।
অপরদিকে আরো এক গৃহবধূ সাবেনা খাতুন জানান ক্যাম্পে ছবি তুলতে গেলে তারা জানান তার নামে কার্ড হয়ে গেছে বলে অনলাইন স্ট্যাটাসটি তার হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ। রামপুর গ্রামের এক গৃহবধূ নাজলী খাতুন জানান তার নামে সমাজসথী কার্ড রয়েছে। গত বছর দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে স্বাথ্য সাথী কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন। অনলাইন স্ট্যাটাসে দেখাচ্ছে ২০১৭ সালে সে কার্ড পেয়ে গেছে। ক্যাম্প থেকে তাকেও ঘুরে আসতে হয়েছে। সমাজসাথী কার্ডের নাম্বারের সঙ্গে স্বাথ্য সাথী কার্ডের নাম্বারের কোনো মিল নেই। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে সমাজসাথী কার্ডটি বন্ধ হয়ে গেছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু জানান, হয়তো কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য এই ধরনের সমস্যা হয়েছে। যারা কার্ড পাননি তারা ১৫ তারিখের পরে ডিএম অফিসে যোগাযোগ করলে যে কার্ড ইস্যু হয়ে গেছে দেখাচ্ছে তা বাতিল করে নতুন করে ছবি তুলে নতুন কার্ড দেওয়া হবে। আপাতত এই ইউআরএন দিয়ে লক্ষ্মীর ভান্ডারের ফর্ম পূরণ করা যাবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct