অমরজিৎ সিংহ রায়, বালুরঘাট: প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে এক অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষকের করা মামলার জেরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক এর বেতন বন্ধের নির্দেশ উচ্চ আদালতের। যদিও যে সময়ের ঘটনা, তদানীন্তন সময়ে বর্তমান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) অন্য জেলায় কর্মরত ছিলেন বলেই জানা গিয়েছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার শিক্ষক মহলে।
জানা গিয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত ওই প্রাথমিক শিক্ষকের নাম ধ্রুবজ্যোতি সরকার। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি অন্য জেলায় বদলি হয়ে যান।
বদলির পরবর্তী সময়ে উনার সার্ভিস বুক সহ অন্যান্য নথি পাঠিয়ে দেয়া হলেও পিএফ এর কিছু বকেয়া এই জেলার সংশ্লিষ্ট বিভাগে রয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে তিনি এই জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক এর নিকট সেই অর্থ ট্রান্সফারের জন্য আবেদন করেন। এর জন্য ওই শিক্ষকের নিকট উপযুক্ত নথিপত্র চাওয়া হয়।
এর পরেই ওই শিক্ষক নথি পত্র দাখিল করলেও, তা যথাযথ নয় বলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) এর দপ্তর থেকে জানানো হয়। এবং পুনরায় নথিপত্র পাঠাতে বলা হয়। এরপর ওই শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হন। এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) নারায়ন চন্দ্র পাল জানান, একজন প্রাথমিক শিক্ষক এই জেলায় কর্মরত ছিলেন । পরবর্তীতে বদলি হয়ে তিনি এই জেলা থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জান ২০০৮ সালে। উনার প্রভিডেন্ট ফান্ডের ফাইনাল পেমেন্ট এখান থেকে যাবে , সেটা পাঠানো হয়নি। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালের সার্ভিস বুক পাঠানো হয়েছে। মহামান্য আদালত যেটা বলেছে এত দেরি হল কেন? সেটা তদানীন্তন যারা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ও চেয়ারম্যান ছিলেন তারা বলতে পারবেন। আমি এই পদে যোগদানের পরে একটি চিঠি পেয়েছিলাম এবং তার উত্তরে আমি ওনাকে বলেছি, যে ভ্যালিড নিয়ম আছে সেই নিয়ম অনুসারে উপযুক্ত ফরম্যাটে জমা দিন। আমরা পিএফ ট্রান্সফার করে দেব। তিনি সেটা সেইভাবে করেননি। তাই আমরা অর্থ ট্রান্সফার করতে পারিনি। তবে এখন মহামান্য আদালত যদি বলেন উপযুক্ত ফরম্যাট ছাড়াই বকেয়া অর্থ ট্রান্সফারর করে দিত, তাহলে আমরা সেটা সেভাবে করে দেব।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct