নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: ওদের হরেক নাম-পাখমারা, ফান্দিয়া, পাখিলা, স্থান-কাল-ভাষা ভেদে সরতে সরতে কোথাও বা তারা বেদিয়া বা হরবোলা।গ্রাম বদলে সভ্য হলেও তাদের রুজি বদলায় না,পাখি মারা।
পাখি শিকার করতে এসে দুই বেদে বামাল সমেত ধরা পড়ে গেল গ্রামবাসীদের হাতে। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে অবশেষে পালাতে বাধ্য হল ওই পাখি শিকারীরা। বস্তা থেকে উদ্ধার করা হলো আহত পাখিদের। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার তুলসিহাটা এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় সোমবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পার্শ্ববর্তী রামপুর গ্রামের কিছু বেদে সম্প্রদায়ের মানুষ তুলসিহাটা এলাকায় এসে পাখি শিকার করছিল। সেই পাখি শিকার করে বস্তায় বেঁধে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের বাধা দেয়।
বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মুখে পড়ে পাখি ভর্তি বস্তাগুলো ফেলে পালায় তারা।বাসিন্দারা বস্তার বাঁধন খুলে পাখি গুলি উদ্ধার করে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান পরিযায়ী পাখিদের এরা মাংস ও টাকার লোভে যথেচ্ছভাবে মারছে। এইভাবে পাখিমারা পড়লে আস্তে আস্তে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যাবে। এ ব্যাপারে চাঁচল মহকুমা রেঞ্জের বন দপ্তরের আধিকারিক মনীন্দ্রনাথ থকদার জানান ‘আমরা ওই এলাকার লোকদের কাছ থেকে পাখি শিকারের ঘটনার কথা শুনেছি। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখা হবে। অবিলম্বে আমরা এর বিরুদ্ধে নজরদারি আরো কড়া করছি।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বেদে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি জানালেন পাখি শিকার করেই আমাদের সংসার চলে।
তাই আর কোন কাজ না পেয়ে বাধ্য হয়েই পাখি শিকার করি আমরা। লকডাউনে সংসার চালাতে এছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct