মঞ্জুর মোল্লা, নদিয়া: ঝুড়ির খাঁচায় আটক জীবিকা থমকে গেছে লকডাউনে কোভিড আর লকডাউন শ্রমজীবী মানুষের জীবিকার উপর আঘাত এনছে সব থেকে বেশী। বিগত দু'বছর ধরে চলা কোভিড পরিস্থিতিতে সরকার নির্দেশিত গোটা দেশ সহ রাজ্যে লকডাউনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে শ্রমজীবী পরিবারের মানুষ।
নদীয়া করিমপুর, বেতাই ও শান্তিপুর ব্লক সহ বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু মানুষ ঝুড়ি শিল্পের সাথে যুক্ত। তারা বাঁশ চিরে তার চাঁছাড়ি দিয়ে বানায় নানা রকমের ঝুড়ি। এই ঝুড়ির একটা বড়ো অংশ ব্যবহৃত হয় আমের সিজিনে আম বাগানে।
তাছাড়া হাঁস, মুরগীর খাঁচাও বানান তারা এই বাঁশের চাঁছাড়ি দিয়ে। করিমপুর, বেতাই ও গোবিন্দপুর এলাকার ঝুড়ি শিল্পের সাথে যুক্ত বহু পরিবার কয়েকজন ঝুড়ি শ্রমিক জানালো জন্মাবধি এই কাজের সাথে যুক্ত। তাদের বাপ-ঠাকুর্দাও এই একই কাজ করতেন।
তাদের কথায় "এতবছর এই কাজ করছি, কখনও এইরকম আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটেনি। যে ঝুড়ি বিগত দুবছর আগে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা আজ ৪০ টাকাতেও নিতে চাইছেনা মহাজন। তাদেরও যে বিক্রি নেই, সে কারণেই মহাজন যে দাম দিচ্ছে তাতে বিক্রি করে বাঁশের দামও উঠছে না, মজুরী তো প্রশ্ন-ই নেই।স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আর রেশনের চালে কোনো রকমে চলছে দিনযাপন।"
যদিও শান্তিপুরের অধিকাংশ মানুষ তাঁতশিল্পের সাথে যুক্ত তথাপি অনেক ছোটখাটো শিল্প ছড়িয়ে আছে,যার সাথে যুক্ত মানুষেরা এই মুহূর্তে তাঁত শিল্পীদের মতই সংকটাপন্ন। নেই কোন সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোট আছে ভোট চাই প্রতিশ্রুতি ভরিয়ে দেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct