আপনজন ডেস্ক: সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে নির্বাচন কমিশন শনিবার কলকাতার ভবানীপুর কেএবং জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে উপনির্বাচনের ঘোষণা করেছিল। তার একদিনের মধ্যে রবিবার ওই তিন কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রত্যাশা মতোই ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর-সহ তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। ফলাফল ঘোষণা ৩ অক্টোবর। রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে তিন কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস। ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জঙ্গিপুরে জাকির হোসেন এবং সামশেরগঞ্জে আমিরুল ইসলামকে প্রার্থী করা হয়েছে। জঙ্গিপুরে গতবার জিতে রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী হয়েছিলেন জাকির হোসেন। আর তৃণমূলের টিকিটে সামশেরগঞ্জের বিধায়ক হয়েছিলেন আমিরুল ইসলামকে। তাদেরকে ফের স্ব স্ব স্থানে টিকিট দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
তবে, নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপনির্বাচনে জিতে আসাটা আবশ্যিক হয়ে উঠেছে। াাগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। ইতিমধ্যে ভবানীপুরে তৃণমূল কংগ্রেস ‘খেলা হবে’ চালু করে দিয়ে দেওয়াল লিখন শুরু করে দিয়েছে। এই ভবানীপুর থেকে ২০১৬ সালে ভবানীপুর থেকে জিতেই দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা। ভবানীপুর কেন্দ্র তাই মমতার নিজের নিশ্চিত জায়গা।
উল্লেথ্য, গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবিধানিক নিয়ম মেনে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। কিন্তু রাজ্যে উপনির্বাচন না হলে ৫ নভেম্বরের পর কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকবেন মমতা? তা নিয়ে জোর জল্পনা ছিল।
তার মধ্যেই ভবানীপুরের ভোটগ্রহণের দিন ঘোষণা করে দেয় নির্বাচন কমিশন।
এদিকে, উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই মমতার পাড়া ভবানীপুর জুড়ে তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে খুশির হাওয়া। শনিবার দুপুর থেকেই ভবানীপুর এলাকায় তৃণমূল নেত্রীর ফ্লেক্স, ব্যানার ও পোস্টারে এলাকা ঢেকে দিলেন তৃণমূল কর্মীরা।
রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন যাওয়ার পথে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের দেওয়াল লিখতে দেখতে দেখে ভবানীপুরে গাড়ি থামান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে উচ্ছ্বসিত কর্মী-সমর্থকরা। এদিন মমতা তাঁদের সাবধানে কাজ করার পরামর্শ দেন। তার মধ্যেই সন্ধেবেলা ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হিসাবে মমতার নাম ঘোষণা করল তৃণমূল।
অন্যদিকে, ভবানীপুরে কেন্দ্রে বিরোধী দল কংগ্রেস কোনও প্রার্থী নাও দিতে পারে। সেরকম সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর গত বিধোনসভা নির্বাচনে সামশেরগঞ্জে প্রার্থী হওয়অ কংগ্রেসের প্রার্থী জইদুর রহমান এবার প্রার্থী হতে অস্বীকার করেছেন। তার দাদা খলিলুর রহমান তৃণমূলের জঙ্গিপুরের সাংসদ। তাই ঘরোয়া বিবাদে না জড়িয়ে আগেই কংগ্রেসকে জানিয়ে দিয়েছেন যে তিনি লড়বেন না। ফলে, তৃণমূলের ক্ষেত্রে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct