আপনজন ডেস্ক: নির্যাতনে মাদ্রাসা ছাত্র আরাফাত হোসেনের (৮) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ না নেওয়ায় বিষয়টি গড়িয়েছে আদালতে।মামলাটি বাউফল থানায় এজাহার হিসেবে রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত মামলা কেন নেওয়া হয়নি তা জানাতে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) কারণ দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাউফল থানায় মামলা না নেওয়ায় পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আমলি আদালতে মামলাটি করেছেন শিশুর বাবা মো. হাসান প্যাদা (২৮)। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল্লাহ আল নোমান সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলাটি আমলে নিয়ে আদালতের মাননীয় বিচারক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামাল হোসেন তিনদিনের মধ্যে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর আল ইয়াসিন শিশুসদন হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জিকিরউল্লাহ (৪৫) ও তার ছোটভাই কাওছারকে (৪০)। এছাড়া আরও তিন–চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আরাফাত ওই মাদ্রাসার নজরানা বিভাগের ছাত্র ছিল। পড়া মুখস্থ না হওয়ায় ২২ আগস্ট বেলা দুইটার দিকে আরাফাতকে ধরে দেওয়ালের সঙ্গে ধাক্কা দিয়ে গুরুতর আহত করেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. জিকিরউল্লাহ। এতে আরাফাতের মাথার হাড় ভেঙে যায় ও ডান চোখে গুরুতর জখম হয়। তিনি মাদ্রাসায় গিয়ে আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান। অসুস্থ আরাফাতকে উদ্ধার করে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৪ আগস্ট তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিনই রাত ৯টার দিকে আরাফাত মারা যায়।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিকিরউল্লাহ ও তার ভাই কাওছারের নামে গত শনিবার দুপুরে বাউফল থানায় মামলা করতে যান হাসান প্যাদা। তবে থানায় মামলা নেওয়া হয়নি। তাই পরদিন রবিবার তিনি পটুয়াখালী আদালতে গিয়ে নালিশি মামলাটি করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct