নিজস্ব প্রতিবেদক, উলুবেড়িয়া: সরকারি হাসপাতালে এই রকম ঘটনা ঘটেই থাকে। কিন্তু উলুবেড়িয়ার বুকে নাসিংহোমগুলির কাছে এই প্রথম এহেন ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় নজির সৃষ্টি করেছে উলুবেড়িয়ার নিউ দিশা হাসপাতাল। উলুবেড়িয়ার বাজাপাড়ার এই বেসরকারি হাসপাতালে সময়ের দুমাস আগেই পুত্র সন্তানের জন্ম দেন বাগনানের খানাজাদাপুরের বাসিন্দা গৃহবধূ অনামিকা মাইতি। স্বাভাবিক ভাবেই সময়ের আগে শিশুটির জন্ম হওয়ার কারনে ওজন ছিল স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম। এমতাবস্থায় শিশুটিকে বাঁচানোই ছিল চিকিৎসকদের কাছে চ্যালেঞ্জ।
খুব দক্ষতার সাথে শিশুটিকে চিকিৎসরা নিজেদের পর্যবেক্ষনে রেখে সুস্থ করে বাড়ি ফেরালেন। নার্সিং হোমের চিকিৎসকদের দক্ষতায় খুশি অনামিকার পরিবার। বেসরকারি ওই হাসপাতাল সুত্রে জানা গিয়েছে, আগামী অক্টোবর মাসে অনামিকার ডেলিভারীর তারিখ ছিল। কিন্তু ডেলিভারীর তারিখের আগেই তার শারিরীক সমস্যা দেখা দেয়। গত ২৪ আগষ্ট অনামিকার পরিবারের লোকজন তাকে উলুবেড়িয়ার ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর অনামিকা কে পর্যবেক্ষণ করেন উলুবেড়িয়ার বিশিষ্ট গাইনোলজিস্ট ডাক্তার কে কে গুহ। ঠিক করা হয়, শিশুটিকে বাঁচাতে হলে দ্রুত সিজার করার প্রয়োজন আছে। অনামিকার পরিবারের অনুমতি নিয়েই ওইদিনই অপারেশন করা হয় অনামিকার। তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।
শিশুটির ওজন কম থাকায় দেখা দেয় সমস্যা। প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয় নবজাতকের। এরপর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেবাশিস মিশ্র একটি টিম তৈরি করে ২৪ ঘণ্টা শিশুটিকে পর্যবেক্ষনে রাখেন। কয়েকদিনের অক্লান্ত লড়াইয়ে অবশেষে শিশুটিকে সুস্থ করতে সমর্থ হন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকরা। অনামিকার স্বামী পেশায় কাশীনাথ সামন্ত, পেশায় কৃষি জীবী। তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছিলেন শিশুটিকে বাঁচানো যাবে না। তা স্বত্তেও কঠিন পরিস্হিতির মধ্যে থেকেও হাসপাতালের চিকিৎসকেরা আমার সন্তানকে সুস্থ করে তুলেছেন। আমি ওনাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct