আপনজন ডেস্ক: অ্যালকোহলকে সীমাবদ্ধ করা, নিয়মিত অনুশীলন করা এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধের প্রধান পদক্ষেপ। শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা করা যায় তবে ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়া সম্ভব। প্রাথমিক পর্যায়ে কিভাবে পরীক্ষা করবেন স্তন ক্যান্সার । মহিলারা ২০ বছর বয়স থেকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ে নিজের স্তন নিজে পরীক্ষা করতে হবে। যেভাবে করবেন আয়নার সামনে কাধ সোজা করে দাঁড়ান, কোমরে হাত রাখুন ও আপনার স্তনের আকার, আকৃতি ও রং লক্ষ্য করুন স্তনের কোথাও ক্ষত অথবা লাল স্থান অথবা ফোলা লাগছে কিনা এটাও দেখুন আপনার ডান হাত দিয়ে বাম স্তনে চাপ দিন। এক্ষেত্রে আপনার হাতের আঙুলগুলো একসঙ্গে ব্যবহার করুন (হাতের তালু নয়)। ধীরে ধীরে চাকতির মতো করে হাত ঘুরান ও অনুভব করুন। একই ভাবে বাম হাত দিয়ে ডান স্তন পরীক্ষা করুন।
স্তন ক্যান্সার কেন হয়? পরিবারের (মা-মাসি) কারোর থাকলে সন্তানদের হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অবিবাহিত বা সন্তানহীনা মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। যারা সন্তানকে কখনো স্তন পান করাননি তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার বেশি হয়। বছরের পরে যারা প্রথম মা হয়েছেন তাদের স্তন ক্যান্সারের প্রবণতা একজন কমবয়সী মা হওয়া মহিলাদের থেকে অনেক বেশি। বয়স যত বাড়ে স্তন ক্যান্সার এর ঝুঁকি তত বৃদ্ধি পায়। অল্প বয়সে বাচ্চা নিলে, দেরীতে মাসিক শুরু হলে, তাড়াতাড়ি মাসিক বন্ধ হয়ে স্তন ক্যান্সার প্রকোপ বেড়ে যায়। যেভাবে প্রতিরোধ করতে পারেন। প্রথমত, ৩০ বছর বয়স থেকে নিজে নিজে ব্রেস্ট পরীক্ষা করুন। রিস্ক ফ্যাক্টর থাকলে সে ক্ষেত্রে মেমোগ্রাফি করুন। ফ্যামিলিতে ব্রেস্ট ক্যান্সার থাকলে। ৩০ বছর বয়সের মধ্যে প্রথম সন্তান জন্ম দেয়ার চেষ্টা করুন। জন্মনিরোধক বড়ি অল্পবয়স হতে ও বহুদিন (১০ বছরের বেশি সময়) ধরে না খাওয়া। সন্তানকে বুকের দুধ পান করান। টাটকা শাক-সবজি ও ফল খান। সন্দেহ হলে ক্যান্সার সার্জনের শরণাপন্ন হন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct