আপনজন ডেস্ক: বৃদ্ধ মো. ইউসুফ (৬৮) বাস্তব জীবিত থাকলেও কাগজে-কলমে মৃত। এজন্য ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোটও দিতে পারেননি এই বৃদ্ধ। পাচ্ছেন না বয়স্ক ভাতা। এমনকি কাগজপত্রে মৃত দেখানোর কারণে করোনার ভ্যাকসিনও নিতে পারছেন না তিনি। এখন নিজেকে ‘জীবিত’ প্রমাণ করতে বিভিন্ন অফিসে ধরনা দিচ্ছেন ইউসুফ। আগস্ট মাসের শুরুর দিকে বয়স্ক ভাতা পেতে অনলাইনে আবেদন করতে যান ইউসুফ। তবে কোনো ভাবেই অনলাইনে ডাটা এন্ট্রি করা যাচ্ছিল না। তখন তিনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গেলে জানতে পারেন কাগজপত্রে তাকে ‘মৃত’ দেখানো হয়েছে। কিন্তু কীভাবে জীবিত থেকেও মৃত হলেন এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তাকে জানানো হয়নি। বৃদ্ধ ইউসুফের অভিযোগ, প্রাক্তন ইউপি সদস্য (মেম্বার) ফারুক শিকদারের গাফিলতির কারণে এমনটা হয়েছে। ভুক্তভোগী মো. ইউসুফ বলেন, 'আমি বেঁচে থাকতেও আমাকে মৃত বানিয়েছেন ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন মেম্বার ফারুক শিকদার ও স্কুলশিক্ষক মো. বারী। ভোটার তালিকা করার সময় আমার যাবতীয় কাগজপত্র তাদের কাছে দিয়েছিলাম। তবুও আমার সঙ্গে কেন এ রকম করা হয়েছে বুঝতে পারছি না। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাকি গাফিলতি তা আমার মাথায় ঢুকছে না।'
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct