সেখ রিয়াজউদ্দিন, বীরভূম: বিধানসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষিত করেছিলেন লক্ষী ভান্ডার প্রকল্পের কথা।নিয়ম অনুযায়ী সাধারনদের ক্ষেত্রে মাসিক পাঁচশত টাকা এবং তপশিলি জাতি ও তপশিলি উপজাতির জন্য একহাজার টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু লক্ষীর ভান্ডার ফর্ম পূরণ করতে এস সি ও এস টি দের ক্ষেত্রে প্রয়োজন জাতিগত শংসাপত্র, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে। সেই সমস্যার কথা ব্লক প্রশাসনের কাছে পৌঁছতেই সমস্যার সমাধান করতে সরাসরি গ্রামের মানুষের কাছে উপস্থিত হন দুবরাজপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজা আদক।বুধবার দুবরাজপুর ব্লকের লক্ষীনারায়নপুর অঞ্চলের আদিবাসী অধ্যুষিত মাজুরিয়া গ্রামবাসীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বিডিও, শুনলেন লক্ষীর ভান্ডার পূরণে জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে সমস্যার কথা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা যাতে রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত না হন তার জন্য দ্রুত জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কি কি কাগজ প্রয়োজন তা নিয়ে একটি আলোচনা হয়। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনিকভাবে গ্রামের বাসিন্দাদের শংসাপত্র বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে জানানো হয় এবং এলাকায় তপশিলি উপজাতিদের শংসাপত্র সম্পর্কিত একটি বিশেষ ক্যাম্প করা হবে বলে জানান দুবরাজপুর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক রাজা আদক। খুব দ্রুত ঐ সমস্ত আদিবাসী মহিলা এবং সদস্যদের এস সি সার্টিফিকেট বের করার প্রয়াশ নেওয়া হয়েছে। স্বভাবতই দুয়ারে সরকারের ন্যায় একপ্রকার বাড়িতে বসেই জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার আশায় এবং বিডিও র এরূপ উদ্যোগী ভূমিকায় গ্রামের বাসিন্দারাও খুশি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct