আপনজন ডেস্ক: আপনার ভুঁড়ি বেড়ে গেলে নানান কঠিন রোগ দেহে বাসা বাঁধে। তাই সময় থাকতে বাড়তে থাকা ভুঁড়ি কমানো জরুরি। যদিও আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা মেদ ঝরানোর নানা চেষ্টা করেও সফল হতে পারছেন না। পুরো শরীরের মধ্যে পেটের মেদ কমানো সবচেয়ে কঠিন। পেটে মেদ কমানোর জন্য শরীরে বাড়তি ক্যালরি জমতে না দেওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যেন পুষ্টির ঘাটতি না হয়। মনে রাখবেন, ডায়েট থেকে মাইক্রো এবং ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট কোনোভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।পেটের মেদ কমানোর জন্য আপনার প্রচেষ্টার মধ্যেই থাকতে পারে এমনকিছু ভুল, যার কারণে সহজে ভুঁড়ি কমে না। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কোন ভুলের কারণে কমছে না ভুঁড়ি। প্রথমত, মদ্যপান শরীরের জন্য উপকারী নয়। বরং এটি অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কারো এই বদ অভ্যাস থাকলে তা দ্রুত ত্যাগ করা উচিত। এটি ভুঁড়ি বৃদ্ধিরও অন্যতম কারণ। মদ্যপান করলে তা বিপাকে সমস্যা করে। এতে পেটের মেদ ঝরতে পারে না। ফলস্বরূপ জমতে থাকে ভুঁড়ি। এছাড়া রয়েছে অনিয়মিত ঘুম।সুস্থ থাকার জন্য ঘুমের রুটিন মেনে চলা জরুরি। একেকদিন একেক সময়ে ঘুমানো, দেরিতে ঘুমানো বা রাত জেগে থাকা হতে পারে ভুঁড়ি বৃদ্ধির কারণ। প্রতিদিন অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম জরুরি। যারা পাঁচ ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের ভুঁড়ি বাড়তে থাকে। তাই ভুঁড়ি কমাতে চাইলে প্রয়োজনীয় ঘুমের দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।মানসিক চাপ ভুঁড়ি বাড়ার অন্যতম কারণ। যারা সারাক্ষণ মানসিক চাপ নিয়ে থাকেন তাদের ভুঁড়ি সহজে কমে না। তাই ভুঁড়ি কমাতে চাইলে সবার আগে দূর করুন মানসিক চাপ। গবেষণায় এটি প্রমানিত হয়েছে যে, উদ্বেগ ও হতাশা থাকলে শরীরে করটিসোল হরমোন নিঃসরণ বেড়ে যায়। আমাদের শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এই হরমোন। এর কারণে ক্যালোরি বার্ন কম হয়, ফলে ভুঁড়ি বাড়তে থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত ফাস্টফুড শরীরের জন্য উপকারী নয় একথা কম-বেশি সবারই জানা। তবু মুখরোচক বলে লোভ সামলে রাখা মুশকিল হয়ে যায়। মাঝেমাঝে একটু-আধটু খেলে খুব বেশি সমস্যা না হলেও সমস্যা দেখা দেয় নিয়মিত খেলে। প্রয়োজন বুঝে ব্যায়াম না করা। ওজন কমানোর জন্য অনেকে নিয়মিত ব্যায়াম করেন। কিন্তু কতটুকু ব্যায়াম প্রয়োজন তা অনেকেই জানেন না। এটিও হতে পারে ভুঁড়ি না কমার কারণ। তাই ব্যায়াম শুরু করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে শুরু করা ভালো।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct