আপনজন ডেস্ক: দিল্লি হাইকোর্ট তবলিগী জামাতের প্রধান মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্ধলভির পরিবারকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাদের বাড়ির বাইরে রাখা হয়েছে। তাদেরকে নিজামুদ্দিন মারকাজে থাকার ঘরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট দুই দিনের মধ্যে মারকাজ নিজামুদ্দিনের আবাসিক অংশের চাবি তার মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি পুলিশকে। যদিও সেখানে বসবাস ছাড়া আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে মারকাজের অন্য কোনো অংশে আপাতত প্রবেশ না করা যাবে না।
নিজামউদ্দিন মারকাজ, যার মধ্যে একটি মসজিদ, একটি মাদ্রাসা এবং আবাসিক এলাকা রয়েছে। গত বছর তবলিগী জামাতের ইজতেমার মানুষের জমায়েত নিয়ে অভিযোগ ওঠে সেখানে থেকে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে। এর পর দিল্লি পুলিশ এই তবলিগি মারকাজ ২০২০ সালের ৩১ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়।
যদিও এ নিয়ে মামলায় এখনও দোষী সাব্যস্ত করা হয়সি। তবুও আইনি কারণে তবলিগি মারকাজের পুরো অংশ খুলে দেওয়া হচ্ছে না। এই মারকাজেই সপরিবারে থাকেন তবলিগী জামাতের আমির মাওলানা মুহাম্মদ সাদ কান্ধলভি। মাওলানা সাদের ৭২ বছর বয়সিবৃদ্ধা মা খালিদা কান্ধলভিও তার সঙ্গে এই মারকাজের মধ্যে থাকেন।তাই মারকাজের মধ্যে তাদের থাকার ঘরগুলিও পুলিশের সিল করার বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে আবেদন করেছিলেন। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে একটি ম্যাজিস্ট্রেটাল আদালত তার আবেদন মঞ্জুর করলেও, এই আদেশ স্থগিত করা হয় এবং পরে ডিসেম্বর ২০২০ সালে একটি দায়রা আদালত এই আদেশ স্থগিত করে।
বিচারপতি খান্না বলেন, মারকাজ নিজামুদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলাটি কেবল এটাই যে, মারকাজের মধ্যে মানুষ বসবাস করছিল। এর থেকে কি উদ্ধার করা হয়েছে? কেসেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। আদালত আরও বলেন, যারা সেখানে বসবাস করছে তাদের নিজস্ব ঘর ছাড়া মারকাজ চত্বরের কোনো এলাকায় থাকতে দেওয়া যাবে না। অ্যাডভোকেট ফুজাইল আহমদ আইয়ুবীর মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনে খালিদা বলেন, বেশ কয়েক মাস পেরিয়ে গেছে কিন্তু তাকে এবং তার পরিবারকে তাদের নিজ বাসভবনে ঢুকতে বা প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। পরিবারকে বন্ধু এবং আত্মীয়দের জায়গায় থাকতে বাধ্য করা হয়েছে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct