আপনজন ডেস্ক: রাজ্যে করোনা সংক্রমণের প্রভাব কমতে না কমতেই বিধানসভা উপনির্বাচনের জন্য এবার ফের নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছে তৃণমূল।
সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো পাঁচ জেলায় ইভিএম ও ভিভিপ্যাট পরীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাই নির্বাচনের ভোটযন্ত্রের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হলেও এখনও নির্বাচন কমিশন তেমন রা কাড়ছে না। যদিও তৃণমুল কংগ্রেসের এক প্রতিনিধি দল কিছুদিন আগেই নির্বাচন কমিমনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু লোকাল ট্রেন চালু না হওয়ায় রাজ্য বিজেপি এখনই বিধানসভার উপনির্বাচন করতে রাজি নয়। বিজেপির অবশ্য উপনির্বাচন না করার ব্যাপারে আরও কিছু বিষয় তাদেরকে সঙ্গত দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। প্রথমত যেভাবে মুকুল রায়ের তৃণমূলে ফেরার পর থেকে বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে, তার প্রভাব পড়তে পারে উপনির্বাচনে।
আর বিজেপির কৌশল, এই কারণ দেখিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বোঝানো এই মুহূর্তে যেন উপনির্বাচনের ব্যাপারে দল উদ্যোগ না নেয়। অনন্তপক্ষে ৫ নভেম্বর যাতে পার করে দেওয়া যায়। এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া।
তৃণমূল অবশ্যেএ ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রেখে পদক্ষেপ করতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
তৃণমূল সূত্রের খবর, যেহেতু রাজ্যের যে পাঁচ জেলায় উপনির্বাচন হওয়ার কথা সেই সব বিধানসভা কেন্দ্রে সপ্তাহ খানেক ধরে করোনা সংক্রমণ প্রায় নেই। তবে, খড়দহে সামান্য উপস্থিতি রয়েছে। কড়া বিধি নিষেধের ফলে সপ্তাহ খানেকের মধ্যে সেটাই থাকবে না বলে তৃণমূল আশাবাদী।
তাই এটাই উপযুক্ত সময় নির্বাচন কমিশনে দরবার করা। সেজন্য শীঘ্রই তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য দাবি জানাতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে তৃণমূল নির্বাচন করোনা সংক্রান্ত তথ্য পেশ করে চাপ সৃষ্টি করতে চায় উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার জন্য। আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, উপনির্বাচনের জন্য রাজ্য প্রস্তুত। তবে, তাতে নির্বাচন কমিশন কোনও উত্তর দেয়নি। বরং, নির্বাচন কমিশন যাতে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা না করে তার জন্য বিজেপি নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে। তারা বলছে, যেখানে রাজ্যে লোকাল ট্রেন চালু হয়নি, সেখানে নির্বাচন করাটা সঙ্গত নয়। যদিও, বিধানসভা নির্বাচনের সময় করোনা সংক্রমণ নিয়ে তারা বরং উল্টো মনোভাব দেখিয়ে ছিল।
করোনা সংক্রমণ তাই শূন্য করতে প্রশাসনকে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে। আর এ মাসের বাকি কদিনে করোনার গতি কমলে সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যে করোনা বিধি নিষেধ উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা রযেছে। তার ইঙ্গিত মিলেছে দিন কয়েক আগে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলনে। তিনি বলেছেন, সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল কলেজ ক্রমান্বয়ে খুলতে পারে। আর লোকাল ট্রেন ৩১আগস্টের আগে চলার সম্ভাবনা নেই। তাই সেপ্টেম্বর থেকে করোনা বিধিনিষেধ পুরোপুরি উঠে গেলে উপনির্বাচনে কোনও বাধা থাকবে না। সেটাই বোঝাতে তৃণমূলের বিশেষ প্রতিনিধি দল শীঘ্রই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ফের দেখা করতে চলেছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct