আপনজন ডেস্ক: অন্ত্রের কোষগুলোতে বিশেষ ধরনের পুষ্টি সরবরাহ করে, যা একটি সুস্থ হজমব্যবস্থা বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শর্ট চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, যেমন বিউটাইরেট, অ্যাসিটেট ও প্রপায়োনেট। এ ছাড়া বিভিন্ন মিনারেলের (ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিংক, আয়রন) শোষণে, শিশুদের অ্যালার্জি রোধে, অন্ত্রের কোষে যেকোনো সংক্রমণ কমাতে এবং অটিজমের কিছু লক্ষণ কমাতেও প্রিবায়োটিক সাহায্য করে। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতেও প্রিবায়োটিকের জুড়ি নেই। যখন পেট ফেঁপে থাকবে, গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাবে, সামান্য কারণে ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য হবে, কোনো খাবারই সহজে হজম হতে চাইবে না, তখন খাদ্যতালিকায় প্রিবায়োটিক–সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এমন কিছু খাবার হলো,
ইসবগুলের ভুসি। এটি খুব শক্তিশালী প্রিবায়োটিক। এর উচ্চমাত্রার আঁশ অন্ত্রে দ্রুত উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কলোনি তৈরি করে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং অন্ত্রের যেকোনো সংক্রমণের হার কমায়। রসুনের প্রিবায়োটিক অন্ত্রের উপকারী বিফিডোব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা ব্যাকটেরিয়াজনিত অনেক পেটের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তবে এ ক্ষেত্রে ভাত-শাকের সঙ্গে কাঁচা রসুনের কোয়া খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। পেঁয়াজও প্রিবায়োটিক। এছাড়া খেতে পারেন বার্লি। এটি একধরনের শস্য, যার প্রতি ১০০ গ্রামে ২০ গ্রামের মতো বিটা-গ্লুকন থাকে। এ ছাড়া বিটা-গ্লুকন রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বাড়ায়। এছাড়া খেতে পারেন ওটস। উচ্চ আঁশসমৃদ্ধ হওয়ায় এর প্রিবায়োটিক কার্যকারিতা রয়েছে। এতে বিটা-গ্লুকনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে; যা অন্ত্রের স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখে এবং কোলন ক্যানসার রোধে ভূমিকা রাখে। খেতে পারেন কাঁচা কলা। এতে বেশি পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ থাকে, যা প্রিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এই তালিকায় রয়েছে আপেল, মধু, কোকো পাউডার, তিসি, লাল রঙের খাবার ( লাল আটা, চাল, ময়দা)।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct