আপনজন ডেস্ক: একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের জন্য তালিবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গণি বারাদর শনিবার রাজধানী কাবুলে এসেছেন। নতুন আফগান সরকার গঠনের লক্ষ্যে তালিবানে তার সহকর্মী এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদের সাথে আলোচনার জন্য কাবুল এসেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে ওই নেতা বলেন, ‘সকলের অংশগ্রহণে এক সরকার গঠনের জন্য নেতৃবৃন্দ ও রাজনীতিবিদদের সাথে আলোচনার জন্য তিনি কাবুলে আসছেন।’
এর আগে রাজধানী কাবুল নিয়ন্ত্রণে নেয়ার পর ১৭ আগস্ট কাতারের দোহা থেকে আফগানিস্তানের কান্দাহারে আসেন মোল্লা বারাদার। এর আগে দোহায় তালিবানের রাজনৈতিক দফতরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।
ধারণা করা হচ্ছে, তালিবান নিয়ন্ত্রিত পরবর্তী আফগান সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। এর আগে আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে ছিটকে পড়ার প্রায় ২০ বছর পর ১৫ আগস্ট আবার রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালিবান যোদ্ধারা।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী হামলার জেরে আফগানিস্তানে আগ্রাসন চালায় মার্কিন বাহিনী। অত্যাধুনিক সমরাস্ত্রসজ্জ্বিত মার্কিন সৈন্যদের হামলায় আফগানিস্তানের তৎকালীন তালিবান সরকার পিছু হটে।
এই বছরের মে মাসে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এপ্রিলে এক ঘোষণায় ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা জানান। পরে জুলাই সময়সীমা আরো কমিয়ে এনে ৩১ আগস্টের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন তিনি।
মার্কিনিদের সাথে চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারের সাথে তালিবানের সমঝোতায় আসার কথা থাকলে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি দুই পক্ষ। সমঝোতায় না পৌঁছানোর জেরে তালিবান আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণে অভিযান শুরু করে।
৬ আগস্ট প্রথম প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে তারা। যারানজ নিয়ন্ত্রণে নেয়ার ১০ দিনের মাথায় ১৫ আগস্ট কাবুল দখল করে তালিবান যোদ্ধারা।এ দুর্যোগের পর ক্রমেই তাঁবুর শহরে পরিণত হয়েছে লেস কায়েস। তবে সেখানে অতিআবশ্যক ত্রাণ সহায়তা না পৌঁছানোর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct