আব্দুস সামাদ মণ্ডল, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পর্বের পর প্রায় সাড়ে তিনমাস অতিবাহিত। কিন্তু ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে, নির্বাচন পরবর্তী হিংসার কোন বিরাম নেই। বহু জায়গায় আইএসএফ কর্মীরা বাড়িছাড়া, যদিও বাড়ি ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে তাদের জরিমানা, জোর করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করানোর চেষ্টা চলছে। শুক্রবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেরনে এ অভিযোগ করেন আইএসএফ বিধায়ক পীরজাদা নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি বলেন, গত ১৫ আগস্ট ভাঙড়ের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে দলের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেখানে কয়েকটি জায়গায় জোর করে অনুষ্ঠান বানচাল করে দেওয়া হয় বলে তার। এমনকি ২৪জন দলীয় কর্মীর নামে মিথ্যা মামলাও দেওয়া হয়েছে।
দলীয় কর্মীদের মারধরের পর আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যেতেও বাধা দেয়। বলে অভিযোগ ভাঙ্গড়ের জাগুলগাছি অঞ্চলে, সেখানেও জাতীয় সংগীত পরিবেশননা কালে সময়ে হামলা চালায় তৃণমূল দুষ্কৃতীরা,জাতীয় সংগীত বন্ধ করে দেওয়া হয় মাঝপথেই বলে গুরুতর অভিযোগ আইএসএফ দলের পক্ষ থেকে গতকাল কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। আশা করব, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় অভিযুক্তদের শাস্তি হবে ও আক্রান্তরা উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
নওসাদ সিদ্দিকী আরও অবিযোগ জানান, সম্প্রতি কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হচ্ছে। বিধানসভা নির্বাচনে মগরাহাট পশ্চিম থেকে আইএসএফ প্রার্থী ছিলেন মইদুল ইসলাম তাকেও গ্রেফতার করে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশের কাছে চালানের হয়েছে বলে দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। মইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে আইএসএফ নেতৃত্বকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিকভাবে পুলিশ একজন শিক্ষকের সঙ্গে ক্রিমিনালের মতন আচরণ করে ঝাড়গ্রাম পাঠিয়ে দেয়। আমরা গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। নওসাদের সাংবাদিক সম্মেরনে হাজির ছিলেন তথ্যচিত্র নির্মাতা সৌমিত্র দস্তিদার।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct