আপনজন ডেস্ক: বিয়ের পর থেকে শ্যালিকার প্রতি কুনজর পড়ে জামাইবাবুর। ধীরে ধীরে তারা সম্পর্কে জড়ান। তবে বাধা হয়ে দাঁড়ান স্ত্রী। তাই স্ত্রীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করেন স্বামী। গুম করে ফেলেন লাশও। ১০ মাস পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে স্ত্রীর কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঢাকার কেরানীগঞ্জের। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় গ্রেফতার স্বামীর দেওয়া তথ্যমতে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নের কদমপুর এলাকায় ভাড়া বাড়ির পাশের ডোবায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখানে মোহনার লাশের হাড়, মাথার খুলি, চুলের কিছু অংশ, ব্যবহৃত কাপড়সহ বেশ কিছু অংশ পাওয়া যায়। কঙ্কালের অংশ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ইকবালের দেওয়া তথ্য সন্দেহ মনে হলে পুনরায় আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এবার তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে লাশ গুমের স্থান দেখিয়ে দেন। নিহত মোহনার মা রহিমা বেগম বলেন, আমার দুই মেয়ে মোহনা ও আরিফা। ২০১৬ সালের আগস্টে ইকবালে সঙ্গে আমার বড় মেয়ে মোহনার বিয়ে দেই। এরপর ছোট মেয়ে আরিফাকে মাদরাসায় ভর্তি করে দিয়ে জীবিকার তাগিদে আমি দেশের বাইরে চলে যাই। আমার ছোট মেয়ে আরিফা মাদরাসা ছুটিতে বড় বোনের বাড়িতে এলে বোন জামাই ইকবালের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। বড় মেয়ের সংসার বাঁচাতে আমি বিদেশ থেকেই ছোট মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেই। সেখান থেকেও একবার ছোট মেয়েকে ফুসলিয়ে বের করে নিয়ে আসেন ইকবাল। গত বছর ২২ নভেম্বর জানতে পারি আমার বড় মেয়ে নিখোঁজ। ঘটনার সাত মাস পর দেশে ফিরে ১৪ জুন থানায় অভিযোগ করি। পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রামেরকান্দা এলাকা থেকে ইকবালকে আটক করে পুলিশ। একই সঙ্গে আমার বাড়ি থেকে ছোট মেয়ে আরিফাকেও আটক করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাবুদ্দিন কবির বলেন, নিহতের স্বামী হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct