আপনজন ডেস্ক: মেসি সম্পর্কে এই পাঁচ চমকপ্রদ তথ্য হয়ত অনেকেই জানেন না।
১. চে গুয়েভারার এলাকার ছেলে
বিশ্ব ফুটবলের আলোচিত নাম লিওনেল মেসির জন্ম আর্জেন্টিনার সান্তা ফে প্রদেশের রোজারিও অঞ্চলে। এই রোজারিও অঞ্চলেই জন্মগ্রহণ করেন মহান বিপ্লবী আর্নেস্তো চে গুয়েভারা।
২. মেসির প্রথম ক্লাব গ্রানদোলি
মাত্র ১৩ বছর বয়সে বার্সেলোনায় নাম লেখানো লিওনেল মেসির প্রথম ক্লাব ছিল আর্জেন্টিনার রোজারিও এলাকার স্থানীয় ক্লাব গ্রানদোলি এবং সেখানে তাঁর প্রথম কোচ ছিলেন সালভাদর আপারিসিও। ৯০ দশকের শুরুর দিকে পাঁচ বছর বয়সী খেলোয়াড়দের এক অনুশীলনে মেসি গ্রানদোলির যুবদলের এই কোচের নজরে পড়েন।
৩. ন্যাপকিন পেপারে লেখা অঙ্গীকারপত্র
মেসি স্পেনের ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেন হোরাশিও গ্যাগিওলির মাধ্যমে। বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ মাত্র ১৩ বছর বয়সী মেসিকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও, গ্যাগিওলির আত্মবিশ্বাসের ওপর ভর করে মেসিকে দলে নিয়ে নেয়। সেখানেও ছিল কিছুটা নাটকীয়তা। একটা ন্যাপকিন পেপারের ওপর লেখা হয়েছিল মেসিকে বার্সেলোনায় নেওয়ার অঙ্গীকারপত্র, যা অ্যান্ডোরা ক্রেডিট ব্যাংকের লকারে রেখে দিয়েছিলেন গ্যাগিওলি। তিনি মনে করেন, বার্সেলোনার জাদুঘরে থাকা উচিত এই অঙ্গীকারপত্র।
৪. অলিম্পিক মেডেলও আছে ঝুলিতে
২০০৬ সালের বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে বাদ পড়ার স্মৃতি নিয়ে মেসি আর্জেন্টিনার একটি তরুণ দল নিয়ে গিয়েছিলেন ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিকে। একে একে প্রতিটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে নাইজেরিয়াকে হারিয়ে অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতে নিয়েছিল মেসির আর্জেন্টিনা।
৫. মেসির দাতব্য প্রতিষ্ঠান
২০০৭ সালে বিশ্বজুড়ে শিশুদের সুশিক্ষা এবং সুচিকিৎসা নিশ্চিতে মেসি গড়ে তোলেন লিও মেসি ফাউন্ডেশন। এই দাতব্য প্রতিষ্ঠান থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ায় ৫০ হাজার স্কুলপড়ুয়া শিশুকে শিক্ষাসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মোজাম্বিকের প্রায় ১৫ হাজার স্কুলপড়ুয়া শিশুর জন্য প্রতিদিন সকালের খাবারের ব্যবস্থাও করে লিও মেসি ফাউন্ডেশন। পাশাপাশি মেসির প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় একটি ক্যানসার হাসপাতালও গড়ে তোলা হয়েছে বার্সেলোনায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct