আপনজন ডেস্ক: দেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থ রক্ষায় গঠিত হয়েছে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। সেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের কমিটিতে বর্তমানে না আছে চেয়ারম্যান না আছেন অন্যান্য সদস্যরা। তা নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামালা করেছিলেন অভয় রতন বৌদ্ধ নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলায় দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি রেখা পল্লি কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য পদাধিকার নির্বাচিত করতে হবে। এর আগে এই মামলায় হাইকোর্টে সময়সীমা ৩১ জুলাই করলেও কেন্দ্রীয় সরকার কোভিড-১৯ এর জন্য সময় চেয়ে আবেদন করায় তার ভিত্তিতে এই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়।
আবেদনকারী তার আর্জিতে জানান, ২০২০ সালের এপ্রিল মাস থেকে জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশনে বিভিন্ন পদ শূন্য হতে শুরু করে। ২০২০ সালের অক্টোবর অবধি মাত্র একজন পদাধিকারী ছিলেন, সেটি হল ভাইস চেয়ারম্যান পোস্ট।তবে দিল্লি কোর্ট জানিয়েছে, চেয়ারম্যান পোস্ট সহ জাতীয় সংখ্যালঘূ কমিশনের সাত সদস্যের কমিটিতে ছটি পদই শূন্য। শুধুমাত্র ভাইস চেয়ারম্যানই কাজ করে চলেছে। তবে এখনও শূন্য পদ পূরণ না হওয়ায় সংখ্যালঘু মহল থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
সাধারণত মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ ও পার্সি সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে প্রতিনিধিরা সংখ্যালঘু কমিশনের কমিটিতে স্থান পান। দেশের সংখ্যালঘুদের উপর নাান অন্যায়, নিপীড়ন ও বঞ্চনার অভিযোগ থাকলে তা বিবেচনা করে দেখে এই জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার জাতয়ি সংখ্যালঘু কমিশনের কমিটি গঠনে অনীহা দেখানোয় সংখ্যালঘূদের নানা সমস্যার কথা আর জাতীয় কমিশনের উত্থাপিত হচ্ছে না।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct