সেক আনোয়ার হোসেন, পাঁশকুড়া: পাঁশকুড়া ১ ব্লকের রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কুমোরআড়া মহেশবাড় গ্রামের হরেকৃষ্ণ পাঁজা নামে এক ব্যক্তি বছর খানেক আগে বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির জন্য দু দফায় মোট ১ লক্ষ্য ১০ হাজার টাকা পান। সেই টাকায় ছাদ ঢালাই পর্যন্ত ঘর করে ফেলেন। কিন্তু তৃতীয় কিস্তির টাকা একশো দিনের কাজের জব কার্ডের মাধ্যমে কয়েক দফায় পাওয়া যায়। কিন্তু তৃতীয় কিস্তির টাকা হরেকৃষ্ণ বাবুর অ্যাকাউন্টে না ঢোকার ফলে তিনি পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে জানতে পারেন তাঁর টাকা তাঁরই গ্রামের এক তৃণমূল বুথ সভাপতি ঋষিকেশ পাঁজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে। পঞ্চায়েত অফিস থেকে হরেকৃষ্ণ পাঁজাকে জানানো হয় ১ লা জুলাই ও ২০ ই জুলাই দুদফায় মোট ৬ হাজার ১২০ টাকা ঢুকেছে। তবে ওই টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে না ঢুকে ঢুকেছে ঋষিকেশ পাঁজার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।কিন্তু এক জনের অ্যাকাউন্টের টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে গেল কি করে প্রশ্ন সেখানেই? তবে এ বিষয়ে রঘুনাথবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অজিত সামন্ত বলেন হরেকৃষ্ণ পাঁজা নামে এক ব্যক্তির বাংলা আবাস যোজনার টাকা দুই কিস্তিতে ঢুকেছে, তৃতীয় কিস্তির একশো দিনের ম্যান্ডেজের ১৮ হাজার টাকা ঢোকার কথা,সেখানে তাঁরই একজনের আধার লিঙ্কের কারণে টেকনিকেল্ট ফল্ড হওয়ায় ওই ব্যক্তির টাকা ঋষিকেশ পাঁজার অ্যাকাউন্টে ভুল বশত ৬ হাজার ১২০ টাকা ঢুকে যায়। তবে আমরা প্রাপক হরেকৃষ্ণ পাঁজার অ্যাকাউন্টে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
অন্যদিকে তৃণমূলের বুথ সভাপতি ঋষিকেশ পাঁজা বিষয়ে কিছুই জানত না। তবে বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চেক করে জানতে পারে হরেকৃষ্ণ পাঁজার টাকা তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে বলে স্বীকার করে। এবং পরে ওই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ারও আশ্বাস দেন।তবে এ বিষয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি চাপা দেওয়ার অভিযোগ আনল বিজেপি।কিন্তু পাঁশকুড়া ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি মুক্লেশ্বর দত্ত বলেন যদি এমন কোনো অভিযোগ থাকে তবে তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। দলনেত্রীর নির্দেশ রয়েছে দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকলে তাঁকে কোনো প্রকার আশ্রয় দেওয়া হবে না। তবে এমন যদি কোনো তথ্য থাকে তবে প্রশাসন যেন তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct