আপনজন ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরে এক মুসলিম রিকশা চালককে জয় শ্রীরাম না বলায় মারধর করেছিল বজরং দলের সদস্যরা। সেই জয় শ্রীরাম কাণ্ডে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তারা জামিনে মুক্ত হয়ে গেল। ওই ঘটনায় তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করলেও পুলিশের গাফিলতিতে তারা জামিনে মুক্তি পেয়ে যায়। আদালত সূত্র জানিয়েছে, জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়নি। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের কানপুর শহরে এক রিকশাচালককে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়। মাঝবয়সি ওই মুসলিম রিকশাচালক জয় শ্রীরাম বলতে না চাইলে তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। এমনকী তার ছোট্ট বাচ্চা তাকে বাঁচানোর জন্য আর্তি জানালেও বজরং দল তাকে ছাড় দেয়নি। বরাত জোরে পুলিশ গিয়ে পৌঁছলে ওই রিকশাচালককে উদ্ধার করা হয়। এই মর্মান্তিক ঘটনার দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারিত হওয়ায় মুখ পোড়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের।
যদিও এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ওই তিন বজরং দলের সদস্য হল রাহুল, আমানও রাজেশ।
বজরং দলের সদস্যরা এতটাই বেপরোয়া ছিল যে পুলিশ আক্রান্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করার সময় মারধর করতে দ্বিধাবোধ করেনি। ফলে, তারা বুঝিয়ে দিল উত্তরপ্রদেশ বিজেপি শাসনে বজরং দলের সাম্প্রদায়িক আস্ফালন চলতে থাকবে। এই দুঃখজনক ঘটনাটি ঘটেছে বজরং দলের মিটিং স্থল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে।
দিন দুপুরে এই ঘটনার সম্পর্কে আক্রান্ত রিকশাচালক পুলিশকে জানান, তিনি বিকাল তিনটে নাগাদ তার পরিবার নিয়ে আসছিলেন। সেসময় বজরং দলের সদস্যরা আটকে মারধর করে। তবে পুলিশ থাকায় তিনি বেঁচে যান। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। স্থানীয়রা বলছেন, এক হিন্দু প্রতিবেশীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য ছিল। তার জেরে এই ঘটনা। তবে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে বজরং দল জোর করে ধর্মান্তর করারর অভিযোগ তুলেছে। যদিও ওই ব্যক্তি এই ধরনের কোনও ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কানপুরের প্রবীণ পুলিশ অফিসার রবিনা ত্যাগী বলেছেন, এফআইআর করা হয়েছে। আইনগতভাবে এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, বজরং দলের সদস্যকে পুলিশ গ্রেফতার করায় তারা কানপুরে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct