আপনজন ডেস্ক: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী থিওলজী বিভাগের স্থায়ী সমাধান চেয়ে আবেদন জানাল পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ন। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়. ‘আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আদি বিভাগ ‘ইসলামীক থিওলজী’ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভাবাবেগ নিয়ে স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে একাধিক বার আপনার দ্বারস্থ হয়েছি। আশা করেছিলাম ইসলামিক থিওলজী বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যাগুলির স্থায়ী সমাধান সাধিত হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় নতুন রূপে সেজে উঠবে। কিন্তু আপনার অন্তঃসার শূন্য প্রতিশ্রুতি আমাদের আশাহত করেছে।’
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়নের এক প্রতিনিদি দল যে সম্মারকলিপিট প্রদান করে তার মধ্যে বিভিন্ন দাবি উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ফ্রি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করে ৫০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অবিলম্বে ক্লাস চালু করতে হবে।
ইসলামিক থিওলজী বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের স্থায়ী সমাধানের জন্য ইউ. জি.সি গাইড লাইন অনুসারে বাংলাভাষী, কম্পিউটার ও আধুনিক সিলেবাসের উপর দক্ষ অ্যাসিস্টেন্ট প্রোফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রোফেসর এবং প্রফেসর অবিলম্বে নিয়োগ করাতে হবে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ২০১৬ সালের অঙ্গীকার মোতাবেক থিওলজী বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য বেগম রোকেয়া ভবনকে খুব দ্রুত আবাসিক হোস্টেলে রূপান্তরিত করতে হবে।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের ২০১৬ সালের অঙ্গীকার মোতাবেক পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসের সামনের মাঠ সহ মাঠের সাইডে গার্লস এবং বয়েজ হোস্টেলের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুযায়ী মুসলিম ভাবাবেগকে অক্ষুণ্ণ রেখে অধ্যাপক, নন-টিচিং স্টাফ নিয়োগ এবং পিএইচডি স্কলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজস্ব ছাত্র ছাত্রীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। সরকারি ওয়েবসাইট গুলোতে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে ইসলামীক থিওলজী বিভাগকে কেন্দ্র করে যে ১১ টি সেন্টার চালু আছে, সেই সমস্ত সেন্টারে অবিলম্বে পর্যাপ্ত পরিমানে অধ্যাপক ও নন-টিচিং স্টাফ নিয়োগ করতে হবে। উপরিউল্লেখিত দাবির সাপেক্ষে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct