আজিজুর রহমান, গলসি: গলসির পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মুমুর্ষ রোগীদের পরিসেবা দিতে শুরু হয়েছে সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই। এবার থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতি বেডে অক্সিজেন পরিষেবা পাবেন মুমুর্ষ রোগীরা। মহতি ওই কাজের সমগ্র অর্থ দান করেছেন স্থানীয় ভদ্রেশ্বর এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি রাইসমিল। হাসপাতালের বিএমওএইচ ফারুক হোসেন বলেন, এটা আমাদের খুবই প্রয়োজন ছিল। যা পুরন করেছেন ভদ্রেশ্বর মিলের মালিকরা। তিনি জানান, আগে হাসপাতালে অক্সিজেন পরিসেবা ছিল। তবে সেন্টাল অক্সিজেন সাপ্লাই সিস্টেম ছিলনা। ফলে রোগীদের বেডে বেডে ওই পরিসেবা দেওয়া যেত না। বর্তমানে এই অক্সিজেন সিস্টেম চালু হওয়ায় বহু শ্বাসকষ্টজনিত রোগীরা উপকার পাবেন। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলেই তাকে বর্ধমানে রেফার করতে হত। ফলে অনেক রোগী পরিবার কমবেশি সমস্যায় পড়তেন। তবে এখন সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। এমন কাজের জন্য ভদ্রেশ্বর মিল কর্তৃপক্ষকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। গলসির বাসিন্দা, শ্যামল গোস্বামী জানান, ওই হাসপাতাল নির্মাণের জন্য জমি ও নগদ অর্থ দানের ব্যবস্থা করেছিলেন পুরসা গ্রামের ততকালীন ব্যবসায়ী দানবীর হাজী আব্দুল জব্বার মন্ডল। যেখান সমগ্র গলসি ছাড়াও বহু মানুষ চিকিৎসা পরিসেবা পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি ২ জাতীয় সড়কের ধারে অবস্থিত হওয়ায় বহু ভাবে উপকৃত হচ্ছেন জাতীয় সড়কে যানবাহন চালক থেকে যাত্রী সহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ। তার দাবি, হাসপাতালের উন্নয়নের আসল কারিগর ডাক্তার ফারুক হোসেন। স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সেখ ফিরোজ আহম্মেদ বলেন, কয়েক বছর পূর্বে ডাক্তার ফারুক হোসেন ওই হাসপাতালে বিএমএইচও হিসাবে যোগ দেবার পরই হাসপাতালের পরিকাঠামোর আমুল পরিবর্তন আসে। দৈনিক মানুষের চিকিৎসা পরিসেবা সাথে সাথে তিনি হাসপাতালটিকে নানাভাবে সাজিয়ে নতুন রুপ দেন। ফারুক বাবুর কাজ দেখেই অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেন ভদ্রেশ্বর মিল মালিক।
এই কাজের জন্য তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। তাছাড়াও এলাকার মানুষ ২৫-৩০ টি শিলিং ফ্যান কিনে দিয়েছেন। বিশুদ্ধ জল পরিসেবা ব্যবস্থা করেছেন। তিনি আরও বলেন, এখানে দৈনিক গড়ে হাজার খানেক স্থানীয় মানুষ আসেন চিকিৎসা করাতে। এবার থেকে হাসপাতালে বাড়তি পাওনা বেডে বেডে অক্সিজেন। যা স্থানীয় ছাড়াও জাতীয় সড়কে বহু মুমুর্ষ রোগীদের উপকারে আসবে। সিমনোড়ী গ্রামের বাসিন্দা আনজুমা খাতুন নামে এক রোগীর আত্মীয় বলেন, শ্বাসকষ্ট হওয়ায় আজ তিনি তার দিদিমাকে নিয়ে এসেছিলেন। ডাক্তারবাবুরা অক্সিজেন দিয়ে তার দিদিমাকে সুস্থ করেছেন। ফলে রেফার করিয়ে তাদের বর্ধমান যেতে হয়নি। এমন কাজে ভদ্রেশ্বর এগ্রো প্রাইভেট লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ওই মহিলা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct