আপনজন ডেস্ক: মাসের পর মাস কেটে গেলেও স্ত্রীর কাছাকাছি আসা হয়নি স্বামীর। আর তাই স্বামীকে যৌন মিলনে অক্ষম বলেই ভেবে নিয়েছিলেন তরুণী। সন্দেহের জল গড়ায় আইনি রাস্তাতেও। স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়ি চলে যান তিনি। স্ত্রীর মন পেতে রীতিমতো পরীক্ষা দিয়ে সুস্থতা প্রমাণ করলেন ওই তরুণ। ঘটনাটি ঘটে ভোপালে। লকডাউনের আগেই ঠিক হয়েছিল বিয়ের। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সব পরিকল্পনা বদলে যায়। তবে বিয়ে বাতিল করার কথা ভাবেনি দুই পরিবার। তাই ছোট্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চার হাত এক হয়। গত ২৯ জুন ভোপালে বসে বিয়ের আসর। বিয়ে হলেও দু'জনের দাম্পত্য জীবনে ছিল না উষ্ণতার ছোঁয়া। নববধূর দাবি, বিয়ের পর থেকে এক ঘরে থাকলেও স্বামী নাকি কোনোদিন ছুঁয়ে দেখেননি তাঁকে। অনেকবার স্বামীর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তবে সম্পর্কের উন্নতি হয়নি। স্বামীর যৌনক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন জাগে নববধূর মনে। বাধ্য হয়ে বিচ্ছেদের কথা ভাবেন। কারণ উল্লেখ করে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে গিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। এরপর লিগাল সার্ভিস অথরিটির কাছে অভিযোগ দায়ের করে বড় অঙ্কের টাকা দাবি করেন তরুণী। এরপরই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কাউন্সেলর। কর্তৃপক্ষ ওই তরুণকে ডেকে পাঠায়। তিনি পরিষ্কার জানান, তাঁর যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। তরুণের দাবি আদৌ সত্যি কি না তা দেখতে পরীক্ষা করা হয়। এরপর টেস্টের রিপোর্টে দেখা যায় তরুণের দাবিই সঠিক। তাঁর কোনোরকম শারীরিক সমস্যা নেই। তাহলে স্ত্রীর সঙ্গে যৌন মিলনে কেন আপত্তি তরুণের? উত্তরে তিনি জানান, বিয়ের সময় স্ত্রীর পরিবারের অনেকেই করোনা আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত বলেই সন্দেহ তৈরি হয়েছিল। তাই স্ত্রীর সঙ্গে কিছুটা দূরত্ব রেখেছিলেন তিনি।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct