আপনজন ডেস্ক: টানা ১৭ মাস পর আগামী ১০ আগস্ট থেকে বিদেশের যেসব বাসিন্দা করোন ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নিয়েছেন তারা উমরাহ শুরু করতে পারবেন। খুলে দেওয়া হচ্ছে মসজিদুল হারামের সবগুলো প্রবেশ দ্বার। সাজানো হচ্ছে নতুন আঙ্গিকে। করোনাকালে মসজিদে নববীর মাত্র চারটি গেট খোলা ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে সব গেট উন্মুক্ত করা হয়েছে। মসজিদে নতুন কার্পেটও বিছানো হয়েছে।
এ বিষয়ে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ বিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ্ সোলায়মান মাশাত জানান, উমরাহর ক্ষেত্রে মুসল্লিদের সংখ্যার কোনো সীমাবদ্ধতা থাকবে না। তবে করোনার কারণে যাতায়াত, হোটেল ভাড়াসহ সবকিছুতে শর্ত পালন সাপেক্ষে উমরাহ হজের ব্যয় বাড়বে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ। এর কারণ হচ্ছে, সৌদি আরব সরকারের করোনা বিধিনিষেধ। জানা যাচ্ছে, করোনা সতর্কতার জন্য, এ বছর হয়তো এক রুমে দুই জনের বেশি থাকতে পারবেন না। আবার তারকা হোটেল ছাড়া হয়তো উমরাহ যাত্রীদের রাখা যাবে না। সেক্ষেত্রে হোটেল খরচ বাড়বে। ভিসার আগে হোটেল ভাড়া সম্পূর্ণ পরিশোধ করে রিসিপ্ট দেখাতে হবে। আবার গাড়িতে অর্ধেক আসনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না। সে কারণে ওমরাহ যাত্রীদের যাতায়াত খরচও বাড়ার সশূহ সম্ভাবনা। এভাবে করোনা পরিস্থিতির কারণে সব খাতেই প্রায় দ্বিগুণের মতো ব্যয় করতে হবে বলে হজ এজেন্সিগুলোর ধারণা।
হজ এজেন্সিগুলো বলছে, বিশ্বে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার আগে প্রতি বছর বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ উমরাহ পালন করতে যান। সূত্রের খবর, বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সৌদি কর্তৃপক্ষের দ্বিপক্ষীয় চুক্তি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। সেক্ষেত্রে নতুন কোনও শর্তে যোগ করা হতে পারে। যদিও আগেই কিছু শর্ত জানিয়ে দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও উমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে— উমরাহ পালনের জন্য ১৮ বছর বা বেশি বয়সিরাই সুযোগ পাবেন। তবে যে দম্পতির তিন-চার বছরের শিশু রয়েছে তারা ইচ্ছে করলেও শিশুদের সঙ্গে নিতে পারবেন না। তবে, ভারতীয়দের জন্য খুশির বিয়ষ যে সৌদি আরব যেসব দেশকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে তার মধ্যে ভারত নেই। প্রসঙ্গত যে, মহামারি করোনার কারণে ২০২০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বিদেশিদের জন্য পবিত্র উমরাহ পালন বন্ধ ঘোষণা করে সৌদি সরকার। গত দুই বছর ধরে বিশেষ শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে হজ আয়োজন করে আসছে সৌদি সরকার। এমনকি বাইরের দেশ থেকে কাউকে হজের জন্য অনুমোদনও দেওয়া হয়নি। চলতি বছর ৬০ হাজার সৌদি নাগরিক ও দেশটিতে অবস্থানরত ১৫০ দেশের প্রবাসীদের হজের অনুমোদন দেওয়া হয়।