নিজস্ব প্রতিবেদক, সুতি: মুর্শিদাবাদ জেলার সুতি ২নং ব্লকের উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ দুই কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জানানো হয়েছে সুতি২ ব্লক ও জঙ্গিপুর মহুকুমা কার্যালয়ের আধিকারিকের কাছে। অভিযোগ জল সংরক্ষণ ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প পাশাপাশি ১০০দিনের কাজে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানসহ দুই পঞ্চায়েতকর্মী। পুরো ঘটনার প্রতিবাদ করে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে স্থানীয়রা। তাদের দাবি, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের দুটি প্রকল্পের একটিরও কোনোরকম কাজ না করে পঞ্চায়েত প্রধান রবিকুল ইসলাম ও দলনেতা কাওসার আলিসহ আরো দুই কর্মীর সহযোগে কয়েক কোটি টাকা ছয়নয় করে বলে অভিযোগ। ২০২০-২০২১ বর্ষে জল সংরক্ষণ ও বন্যা নিমন্ত্রন করতে ৪৪ টি স্কিমে ২ লক্ষ করে বরাদ্দ হয় ৮৮ লক্ষ টাকা। ১৪৬ টি স্কিমে বরাদ্দ হয় ৪ লক্ষ করে ৫ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। জব কার্ড ধারী বাক্তি দের দিয়ে ১০০ দিনের কাজের ৩৯ টি স্কিমে ৪ লক্ষ করে বরাদ্দ হয়। হাতে গুনা কয়েকটি জায়গার কাজ করে সমস্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করে সব কটি স্কিমের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ও ব্লকের বিডিওর কাছে এসে হাজির হয় পঞ্চায়েত সদস্যসহ গ্রামবাসিরা এবং ওই প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনা করে অভিযোগ দায়ের করে। তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন সুতি২ ব্লক আধিকারিক সমীরণ কৃষ্ণ মণ্ডল।
পঞ্চায়েত সদস্য আনিকুল ইসলাম জানান বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা প্রকল্পের ৩৯ টি স্কিম করা হয়েছিল ও ক্যানেলের ৪০ টির মত স্কিম করা হয়েছিল আমারা ঘুরে দেখছি কোনো কাজ হয়নি। তিনি আরো বলেন যদি এই ঘটনার ব্যবস্থা না হয় , তাহলে আমার হাইকোর্টে দ্বারস্থ হব।
পঞ্চায়েত প্রধান রবিকুল ইসলাম জানান কোনো গ্রাম সভার সদস্যর অভিযোগ নয় এটা একটা ব্যাক্তিগত ভাবে আমাদের রাজ্য সরকারকে কুলোসিত করার জন্য চক্রান্ত করা হচ্ছে। এই অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। যে অভিযোগ গুলো উঠে এসেছে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হবে এই বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct