আপনজন ডেস্ক: সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মাচরণের জন্য প্রার্থনা স্থল হল মসজিদ। সেই মসজিদ সংরক্ষণে এবার বিশেষ পরামর্শ দিতে এগিয়ে এলন জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহমুদ মাদানি।
এ বিষয় মাদানির জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘মসজিদ মুসলমানদের জন্য একটি ধর্মীয় ও দ্বীনি নিদর্শনের অন্যতম। এটা আল্লাহর ঘর। এখানে তাঁরই এবাদত বন্দেগী করা হয়। কোনো জমি যখন মসজিদের জন্য নির্দিষ্ট করবে, তখন সেটা নিশ্চিতভাবে মসজিদের জন্যই নির্ধারিত হয়ে যাবে। আর সেটা হবে মুসলমানদের জন্য পবিত্রতম স্থান। এর সংরক্ষণের জিম্মাদারিও মুসলমানদের একটি দ্বীনি ও ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে গণ্য হয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের একটি শতবর্ষের পুরানো মসজিদকে যোগী সরকার নথিপত্রে মসজিদের উপস্থিতির তেমন প্রমাণ না পাওয়ার দাবি করে সেটি ভেঙে দেয়। মসজিদের জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে আদালতের নির্দেশ থাকলেও তা অমান্য করা হয় বলে যদিও অভিযোগ। তাই জমিয়তের বিজ্ঞপ্তি জারির করারর মূল উদ্দেশ্যে মসজিদকে সুরক্ষিত করা। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে মসজিদ হেফাজতের জন্য খুব বেশি সতর্ক থাকা জরুরি।
এ ব্যাপারে জমিয়তের পরামর্শ, মসজিদের জমি মসজিদের নামে ওয়াকফ্ করে নেওয়া। সরকারি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় অনুমিত নিয়ে মসজিদ নির্মাণ করা। যদি মসজিদের ভবন নির্মাণের নকশা নিজের কাছে থাকে তাহলে যত্নসহ সংরক্ষণ করা।
আর যদি না থাকে তাহলে পূর্ববর্তী মসজিদের কাগজপত্র পূর্ণ তৈরি করে রাখা। মসজিদ কমিটি মসজিদের নির্বাচিত কাগজপত্র ঠিক রাখবে। মসজিদের বাৎসরিক আয় ব্যয়ের হিসাব অডিট করে রাখবে। মসজিদের সম্পত্তি ওয়াকফ বোর্ডে নিবন্ধিত করা প্রয়োজন। নিবন্ধনের সময় কাগজপত্র সংশোধন করে জমা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে নিবন্ধনের সময় যেন কোন বানান ভুল (মসজিদের নাম এবং পরিচিত) ইত্যাদি না হয়।
বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, স্মরণ রাখা উচিত যে, মসজিদের জন্য যে জায়গা একবার নির্বাচিত হয়ে যাবে, তা আর কখনো পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। ওই মসজিদের জমিনকে পরিবর্তন করা মসজিদের কমিটিরও এখতিয়ার নেই। আর যদি এমন কোন মসজিদে এমন কোনো পরিবেশের সৃষ্টি হয়, তাহলে নিজের এলাকার গ্রহণযোগ্য আলেম ও মুফতিদের সাথে পরামর্শ করে উপস্থিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এর ফলে, নানা বিবাদ থেকে মসজিদ অব্যাহতি পাবে বলে মাদানি মন্তব্য করেন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct