আপনজন ডেস্ক: দিন কয়েক আগে দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে রাজ্যের জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তার কোনও সুফল মেলেনি। তাই বৃহস্পতিবার ফের তিনি টিকা বঞ্চনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন। এ বিষয়ে এক পরিসংখঅ্যন তুলে থধরে মমতা চিঠিতে বলেছেন, বাংলায় রোজ ৪ লক্ষ টিকা দেওয়া হচ্ছে। রোজ ১১ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়ার পরিকাঠামো রয়েছে রাজ্যে। কিন্তু যে পরিমাণ ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে, তা তুলনায় অনেক কম। এখনও ১৪ লক্ষ ভ্যাকসিন প্রয়োজন, কিন্তু কেন্দ্র থেকে মিলেছে মাত্র ২.৬৮ লক্ষ।
মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ বাংলার প্রতি বৈষম্যেরও অভিযোগ তোলেন। এ নিযে বলেন, বিজেপি শাসিত রাজ্য—উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, কর্ণাটকে যথেষ্ট ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হচ্ছে। তাহলে বাংলার প্রতি কেন এই বঞ্চনা কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
মমতা আরও জানান, এ রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। কিন্তু পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন না পেলেও কড়া করোনা বিধিনিষেধ জারির ফলে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই যেন পর্যাপ্ত পরিমাণ করোনা ভ্যাকসিন বাংলায় পাঠানো হয় তার জন্য ফের অনুরোধ করেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার আমেরিকা থেকে উড়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে করোনা বিষয়কি আলোচনাং বসেছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে হওয়অ ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, স্বরাষ্ট্র সচিব গোপালিকা-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
করোনা প্রসঙ্গে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, রাজ্য সরকা করোনা নিয়ন্্তরণ ভাল কাজ করেছে। গত বছরের মতো এবছরও তেমনই নিয়ম জারি থাকবে রাখেন। সেই সঙ্গে বলেন, ‘কোভিড নিয়ন্ত্রণে বাংলায় অনেক কাজ হয়েছে।’
এদিন অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী জানান, পুজোর পর রাজ্যের স্কুল-কলেজ খোলার কথা ভাবা হচ্ছে। একদিন পর একদিন খোলা থাকবে।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct