কুতুবউদ্দিন মোল্লা, ক্যানিং: বড় সড় দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পেল আপ ক্যানিং স্টাফ স্পেশাল ট্রেন।ছোট্ট একরত্তি খুদে শিশুর তৎপরতায় বাঁচল বহু প্রাণ। শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং লাইনের বিদ্যাধরপুর ষ্টেশন সংলগ্ন এলাকায় খেলা করছিল বছর সাতেকের দীপ নস্কর।আমচকা তার নজরে পড়ে রেল লাইনে ফাটল রয়েছে।ফাটল দেখে তৎক্ষণাদ বছর সাতেকের শিশু খবর দেয় তার মাকে।মা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে পেরে জড়ো করেন এলাকার লোকজন।সেই সময় ক্যানিং থেকে শিয়ালদহ যাচ্ছিল একটি স্টাফ স্পেশাল ট্রেন।স্থানীয়রাই লালকাপড় দেখিয়ে ট্রেনটিকে থামায়।লাইন মেরামতির পর আবার শুরু হয় ট্রেন চলাচল।সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বিদ্যাধরপুর ও কালিকাপুর স্টেশনের মাঝে।
রেল সূত্রে খবর, এদিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ স্থানীয়দের চেষ্টায় বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচে আপ ক্যানিং ষ্টাফ স্পেশাল ট্রেন।ওই সময় একটি বছর সাতেকের ক্ষুঁদে দীপ নস্কর রেল লাইনের ধারে বসে খেলা করছিল।হঠাৎ দীপ লক্ষ্য করে লাইনের ওপর একটি বড়সড় ফাটল রয়েছে।দ্বিতীয় শ্রেনির ওই ছাত্রটি বাবা মার মুখে গল্প শুনেছে লাইনে ফাটল থাকলে নাকি ট্রেন উল্টে যেতে পারে।তাই সে দৌড়ে বাড়িতে গিয়ে তার মাকে খবর দেয়।মা এসে দেখে আপ লাইনে একটি বড় ফাটল আছে।একটা পাত আরেকটির ওপর উঠে গেছে।ওই শিশুটির মা সোনালী নস্কর সঙ্গে সঙ্গে আশে পাশের অন্যান্য লোকেদের জড়ো করেন লাইনের ফাটলের কথা বলে।ততক্ষনে কালিকাপুর থেকে ট্রেন চলতে শুরু করেছে বিদ্যাধরপুরের দিকে।হাতের কাছে লাল কাপড় পেয়ে লাইনের ওপর তাই ধরে দাঁড়িয়ে পড়েন এলাকার কয়েকজন গৃহবধূ।দু-তিনজন গামছাও ওড়াতে থাকেন।তবুও ট্রেন চলতে থাকে সামনের দিকে।কাছাকাছি এসে ফাটলের কিছু আগেই দাঁড়িয়ে যায় ট্রেন।চালক, গার্ড নেমে বুঝতে পারেন বড় বিপদের হাত থেকে তাঁরা রক্ষা পেয়েছেন।
খবর পেয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়ার, সোনারপুর জিআরপি, আরপিএফের কর্মী এবং অন্যান্য আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। তবে ছোট্ট শিশুর কল কুর্নিশ জানিয়েছে পূর্বরেলের কর্তারা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct