সঞ্জীব মল্লিক, বাঁকুড়া: একটানা বৃষ্টির জেরে বাঁকুড়া জেলায় সোনামুখী, বড়জোড়া, ইন্দাস ও পাত্রসায়ের এলাকায় সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । পাশাপাশি জেলার অনান্য ব্লকেও সামান্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সবজি চাষের। একটানা বৃষ্টির সাথে দামোদর থেকে জল ছাড়ার জেরে সবজি চাষের আতুরঘর হিসেবে পরিচিত মেজিয়ার সোনাইচন্ডীপুর, বড়জোড়ার মানাচর গুলি, সোনামুখী ব্লকের দামোদর উপত্যকা অঞ্চলের সমিতিমানা গ্রাম , উত্তর নিত্যানন্দপুর , কেনেটিমানা , ডিহিপাড়া গ্রামের সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি পাত্রসায়ের ও ইন্দাস ব্লকের বেশ কিছু এলাকায় সবজি চাষের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চাষীদের দাবি দামোদরের জলে প্লাবিত হয়েছে কয়েক হাজার হেক্টর সবজি ক্ষেত। এখন জলের তলায় রয়েছে খারিফ মরসুমের সবজি। দামোদর উপত্যকা অঞ্চলের ওই সমস্ত এলাকার মানুষের জীবন জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে কৃষির উপর ভিত্তি করেই। সেই কৃষি জমিগুলি আজ জলে ভাসছে। ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। একের পর এক প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কা সামলে ফের খারিফ মরসুমে বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন চাষীরা। সোনামুখী এলাকার কৃষদের কথায়, যে হারে ক্ষতি হয়েছে তা কিভাবে সামাল দেবেন তা নিয়ে চিন্তার ঘুম ছুটেছে কৃষি নির্ভর পরিবারগুলির।
বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস, পাত্রসায়ের এলাকায় সবথকে বেশী বৃষ্টি হয়েছে। জেলা কৃষি দফতর জানাচ্ছে জুলাই মাসে এই দুটি ব্লকে সবথেকে বেশী বৃষ্টিপাত হয়েছে। জেলার সার্বিক চিত্র মার্চ থেকে এপ্রিল ৭৫ শতাংশ বেশী বৃষ্টি হয়েছে, জুন মাসে ৭২% বেশী বৃষ্টি হয়েছে, জুলাই মাসে ৫২ % বেশী বৃষ্টি হয়েছে জেলায়। অথচ জানুয়ারী এবং ফেব্রুয়ারী মাসে বৃষ্টির অভাবে তিল চাষের লক্ষ্য মাত্রা পুরন হয়নি জেলায়। তবে ইয়াসের পর অতিবৃষ্টির জেরে জেলায় সব থেকে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলার কৃষি। জুলাই মাসের শেষ থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি এবং দামোদর থেকে জল ছাড়ার জেরে খারিফ সব্জির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলায়।
জেলা কৃষি দফতরের দাবি জেলায় ১০০০ হেক্টর সবজির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পাশাপাশি সবজি উতপাদনেও ব্যাপক হারে ঘাটতি দেখা দেবে। এর ফলে সবজির দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাবে বলেই আশংখা করছেন জেলা কৃষি দফতর।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct