আপনজন ডেস্ক: করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সবার জন্য স্বাস্থ্য পাস বাধ্যতামূলক করায় ফ্রান্সের সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
শনিবার প্যারিসের বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা তিন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক মুখপাত্র।
এদিন প্যারিসে ১০ জনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ থেকে আরও ৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে টুইটারে জানিয়েছেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেগাল্ড ডাগমানা।
এ নিয়ে টানা তৃতীয় সপ্তাহান্তে ফ্রান্সের জনতা প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর নতুন কোভিড-১৯ নির্দেশনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে। সংক্রমণের চতুর্থ ঢেউ মোকাবেলায় জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোতে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক করোনাভাইরাস হেলথ পাস দেখানোর বিধান জারি করেছে ফ্রান্স সরকার।
এর বিরুদ্ধে লাখো মানুষ রাজধানী প্যারিস ও দেশটির অন্যান্য শহরে বিক্ষোভ করছে।
ফ্রান্স বলছে, দেশের ভিতরে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে যেতে হলে প্রত্যেক নাগরিককে এই স্বাস্থ্য পাস গ্রহণ করতে হবে যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে, ওই ব্যক্তি করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন অথবা পিসিআর টেস্ট নেগেটিভ হয়েছেন।
বিক্ষোভের শুরুর দিকের তুলনায় এখন প্রতিবাদ কর্মসূচিগুলোতে লোক বাড়ছে বলে খবরে বলা হয়েছে। শনিবার ফ্রান্সজুড়ে বিক্ষোভে দুই লাখ চার হাজার ৯০ জন অংশ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। এর মধ্যে প্যারিসের বিক্ষোভে ছিলেন ১৪ হাজার ২৫০ জন।
এদিন দেশজুড়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ৪০ হাজার বেশি।
কয়েকদিন আগে ফ্রান্সের পার্লামেন্টে নতুন একটি আইনও পাস হয়েছে যাতে স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং বার, রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য মেলা, ট্রেন ও হাসপাতালেও হেলথ পাস দেখানোর বিধান রাখা হয়েছে।
শনিবার রাজধানী প্যারিসে প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হলেও তাদের জন্য নির্ধারিত পথে বিক্ষোভকারীদের ধরে রাখতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
প্যারিসের পাশাপাশি এদিন মার্সেই, লিঁও, নঁতেসহ একাধিক শহরে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। তাদের কণ্ঠে ছিল ‘স্বাধীনতা’ ও ‘হেলথ পাসকে না’ স্লোগান।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct