আপনজন ডেস্ক: এখন শিশুদের হাতে হাতে মোবাইল। এই সব শিশুদের মোবাইল ব্যবহার নিয়ে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর) এক সমীক্ষা চালিয়েছে। তাতে এক করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। এনসিপিসিআরের সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে ম্যাসাজ আদানপ্রদানের জন্যই বেশিরভাগ শিশু তা ব্যবহার করে। দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে এখন শিক্ষাদান চলছে অনলাইনে। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ৫৯.২ শতাংশ শিশু ম্যাসাজ আদানপ্রদানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে। আর অনলাইন ক্লাসের জন্য ব্যবহার করে মাত্র ১০.১ শতাংশ শিশু। দেশের মধ্যে মাত্র ৩০.২ শতাংশ শিশুর কাছে নিজস্ব স্মার্টফোন আছে। ১০ বছর বয়সিদের মধ্যে ৩৭.৮ শতাংশের আছে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট। একই বয়সের ২৪.৩ শতাংশ শিশুদের কমপক্ষে একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ১৩ বছর বয়সের পরে বাচ্চাদের নিজস্ব স্মার্টফোন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। তবে, ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের জন্য ল্যাপটপ / ট্যাবলেট ব্যবহার করা শিশুর সংখ্যা দেশজুড়ে রয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বাবা-মারা ল্যাপটপ বা ট্যাবলেটগুলির চেয়ে ১২-১৩ বছর বয়সের পরে তাদের ছেলেমেয়েদের স্মার্টফোন দিতে পছন্দ করেন।
জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন রিপোর্ট আরও জানিয়েছে, এই সমীক্ষায় ৫৮১১ জন অংশ নিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৪৯১ জন স্কুলে পড়া ছাত্রছাত্রী, ১৫৩৪জন অভিভাবক ও ৭৮৬জন শিক্ষক।
ছটি রাজ্যের ৬০টি স্কুলের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়। যদিও এতে দেশের পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ এবং উত্তর-পূর্ব এলাকাকে সমীক্ষার অন্তর্গত করা হয়। সারা দেশে মোট ১৫ স্থান নির্ধারণ করা হয়। তাতে প্রায় এক হাজার মানুষ অংশ নেন।
সমীক্ষাটি আরও জানিয়েছে, ৭২.৭০ শতাংশ শিক্ষকের স্মার্ট ফোন ব্যবহার সম্পর্কে কোনও অভিজ্ঞতা নেই। আর ৫৪.১ শতাংশ শিক্ষক স্মার্ট ফোন ব্যবহারে অসন্তুষ্ট।
ঘুমানোর আগে ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের মধ্যে মোবাইল ব্যবহারের প্রবণতা রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ঘুমানোর আগে মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিশুরা ঘুম ঘুম ভাব, উদ্বেগ এবং ক্লান্ত বোধের মতো সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে।
শিশুদের ইন্টারনেটের আসক্তি নিয়ে এইমস-এর চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন যে বাবা-মায়েদের উচিত শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে নজরদারি করা।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct