চিত্ত-রঞ্জন
__________
আপনজন ডেস্ক: আয়া সোফিয়া গ্র্যান্ড মসজিদ হিসেবে যাত্রা শুরু করে এক বছর আগে। তুরস্কের ইতিহাসে মসজিদটির গুরুত্ব অনেক। এটি দেখতে ইস্তাম্বুল শহরে লাখ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক যায়।
মহামারি সংক্রমণ রোধে বিশ্বব্যাপী নানা ধরনের বিধি-নিষেধ চলছে। তদুপরি আয়া সোফিয়ার মতো বিশ্ববিখ্যাত স্থাপনা জনপ্রিয়তায় শীর্ষস্থানে রয়েছে। দেশটির সরকারি সূত্রে জানায়, এক বছরে প্রায় ৩০ লাখ পর্যটক এসেছেন এটি দেখতে।
১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল বিজয়ের আগ পর্যন্ত ৯১৬ বছর তা খ্রিস্টানদের গির্জা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচ শ বছর তা মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এরপর ৮৬ বছর ঐতিহাসিক এ স্থাপনা জাদুঘর হিসেবে থাকে। অতঃপর ২০২০ সালে তা পুনরায় মসজিদের রূপে ফিরে যায়। মসজিদ হলেও তা সব ধর্ম ও বিশ্বাসের পর্যটকের জন্য উম্মুক্ত থাকে।
গত বছর ১০ জুলাই, তুরস্কের একটি আদালত ১৯৩৪ সালের মন্ত্রিসভার আদেশ বাতিল করে, যে আদেশের কারণে তখন আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর করা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘ ৮৬ বছর পর ঐতিহাসিক এ স্থাপনাটি মসজিদের ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়ার পথ সুগম হয়। এরপর ২৪ জুলাই তাতে প্রথম জুমার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct