আপনজন ডেস্ক: বার্সেলোনা-নেইমার সম্পর্ক যেন ব্যাটম্যান কমিকসের ‘টু-ফেস’ চরিত্রের সেই মুদ্রার মতো। এক পিঠে টান, ভালোবাসা আর যা যা বলা যায়। অন্য পিঠে তিক্ততা, জিবের তলে তেতো স্বাদ নিয়ে বিচ্ছেদের যন্ত্রণা। ২০১৭ সালে মনের মধ্যে এই দুই ‘পিঠ’ নিয়ে বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন নেইমার। এর মধ্যে একটি পিঠ তাঁকে বারবার তাগিদ দিয়েছে বার্সায় ফেরার। অপর পিঠ বাধ্য করেছে মামলা করার। পাওনা টাকার জন্য প্রিয় ক্লাবের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। আবার একই সময়ে ফিরতে চেয়েছেন সেই প্রিয় ক্লাবেই!
বার্সা-নেইমারের এই অম্ল-মধুর আখ্যানে এবার থেকে সম্ভবত ‘অম্ল’ কাটা পড়ছে। অন্তত বার্সার দাবি তেমনই। নেইমারের সঙ্গে চার বছর ধরে আদালতের লড়াই ‘বন্ধুত্বপূর্ণভাবে’ দুই পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে কাতালান ক্লাবটি।
ঘটনার শুরু নেইমারের বার্সার সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করার সময় থেকে। নেইমার বার্সা ছাড়ার পর দাবি করেন ক্লাবটিতে সই করা বাবদ প্রাপ্য বোনাস তিনি পাননি। বার্সা তাঁর এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা যুক্তি দিয়েছে, নেইমার চুক্তিপত্রের শর্ত ভেঙেছেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন আদালতে লড়ছিল দুই পক্ষ।
কিন্তু নিজেদের ওয়েবসাইটে বার্সার পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বার্সেলোনা ঘোষণা করছে ব্রাজিলের খেলোয়াড় নেইমারের সঙ্গে শ্রম নাগরিক বিষয়াদি নিয়ে চলা মামলা আদালতের বাইরে বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সুরাহা করেছে। লেনদেনমূলক বোঝাপড়ার মাধ্যমে আইনি লড়াই শেষ করতে দুই পক্ষই সই করেছে। দুই পক্ষের মধ্যে যেসব বিষয় ঝুলে আছে তার মধ্যে তিনটি দাবি শ্রম ও নাগরিক বিধি নিয়ে। ২০১৩-১৪ থেকে ২০১৬-১৭ পর্যন্ত বার্সেলোনার খেলোয়াড় ছিলেন নেইমার। এরপর তিনি পিএসজিতে যোগ দেন, যেখানে এখনো খেলছেন।’
বার্সায় থাকতে ২০১৬ সালে মেয়াদ বাড়ানোর চুক্তিপত্রে সই করেন নেইমার। সেখানে আনুগত্য বোনাসের শর্ত ছিল।নেইমার বার্সা ছাড়ার পর এই শর্ত অনুযায়ী বার্সার কাছে ৪৩.৬ মিলিয়ন ইউরো দাবি করে মামলা করেন। বার্সাও চুক্তিপত্রের শর্ত ভাঙার যুক্তিতে নেইমারের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করে। গত বছর জুনে কাতালান আদালত নেইমারের বিরুদ্ধে রায় দেন। বার্সাকে ৬.৭ মিলিয়ন ইউরো পরিশোধের জন্য নেইমারকে নির্দেশ দেন আদালত।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct