আপনজন ডেস্ক: ভাজা-পোড়া ও ফাস্টফুড, পিজ্জা, বার্গার, স্যান্ডউইচ অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়ে থাকে বর্তমান প্রজন্ম। যদিও এই খাবারগুলোতে থাকে অত্যাধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। যা হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের কারণ হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ১৪.১ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এই রোগের শিকার হচ্ছে। বৈজ্ঞানিক পরিভাষায় খাদ্যে উপস্থিত ফ্যাট হলো ট্রাইগ্লিসারল। যা তৈরি হয় মূলত তিনটি ফ্যাট অ্যাসিড ও একটি গ্লিসারল মলিকিউলের সমন্বয়ে৷ এই দু’টি মলিকিউল এস্টার নামক একটি বিশেষ রাসায়নিক বন্ধনের মাধ্যমে যুক্ত থাকে৷ এই ধরণের খাবারের ফলে কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের রক্তবাহী ধমনী এবং ধমনীর পথ সংকীর্ণ করে রক্ত চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করে৷ এর ফলে তৈরি হয় বিভিন্ন প্রাণঘাতী হৃদরোগ, মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশনসহ হার্ট অ্যাটাক৷ আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ক্যালোরির প্রায় ৫-৬ শতাংশ। তাই এর ব্যবহার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা উচিত। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে শরীরে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। আর এসব খাবার খেলে হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই তালিকায় প্রথমে রয়েছে মেয়োনিজ। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই হোক আর বার্গার যেকোনো ফাস্টফুড খাওয়ার সময় সঙ্গে তো মেয়োনিজ রাখতেই হবে। খুবই সুস্বাদু মেয়োনিজ একঘেয়েমি সালাদকে সুস্বাদু করে তোলে। তবে জানলে অবাক হবেন, মজাদার এই খাবারে থাকে অধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এছাড়া রয়েছে মাখন। মেয়োনিজের চেয়েও অধিক পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে মাখনে। প্রায় ৭ গ্রাম মাখনে থাকে ১৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাট। তাই যতটা সম্ভব মাখন কম গ্রহণ করা উচিত। তবে আপনি যদি প্রতিদিন মাত্র এক থেকে দুই চামচ মাখন খান, তাতে স্বাস্থ্যের কোনো ক্ষতি হবে না। এছাড়া কেক, চিজ, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, নাগেটস, হুইপড ক্রিম ( বেশিরভাগ কেক এবং পেস্ট্রি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় হৃইপড ক্রিম) জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct