আপনজন ডেস্ক: জাভাদ ফরোগি টোকিও অলিম্পিকের শ্যুটিংয়ে ইরানের হয়ে ইতিহাস গড়ার পর ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে টুইটারে। ইরানের এক প্রতিভা অন্বেষণ অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। দূরে টেবিলে এক কোনায় একটি চিকন লোহার পেরেক পোঁতা হয়। এয়ারগান দিয়ে তা লক্ষ্যভেদ করে তাক লাগিয়ে দেন ইরানের এই শুটার। আজ টোকিও অলিম্পিকের ১০ মিটার এয়ার পিস্তলেও তাক লাগিয়ে দিলেন জাভাদ ফরোগি। এই অলিম্পিক দিয়েই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’-এ অভিষেক ঘটল তাঁর। অভিষেক অলিম্পিকেই রীতিমতো রেকর্ড গড়ে জিতলেন সোনার পদক!
আসাকা শুটিং রেঞ্জে ২৪৪.৮ পয়েন্ট পেয়ে অলিম্পিক রেকর্ড গড়েছেন জাভাদ। ৪১ বছর বয়সী এ শুটার স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনালে হারিয়েছেন সার্বিয়ার শুটার দামির মিকেচকে। ২৩৭.৯ পয়েন্ট পান মিকেচ। ব্রোঞ্জ জিতেছেন চীনের পাং উয়েই। তাঁর পয়েন্ট ২১৭.৬। অলিম্পিক শুটিংয়ে এটাই প্রথম সোনার পদক ইরানের। বাছাইপর্বের বাধা পেরোতে বেশ কষ্ট হলেও ফাইনালে মাথা ঠান্ডা রেখে জিতেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমকে জাভাদ বলেছেন, ‘বাছাইপর্বে স্নায়ুচাপে ভোগায় ফাইনালে এসে আর কোনো চাপে ভুগিনি। মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের কাজটা করতে পেরেছি।’ এই ইভেন্টে ডিফেন্ডিং অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ভিয়েতনামের হোয়াং জুয়ান ফাইনালে উঠতে পারেননি। এ বছর দারুণ ফর্মে আছেন ফরোগি। আইএসএসএফ বিশ্বকাপে সোনার পদক জেতেন গত জুনে ক্রোয়েশিয়ায়। এবার অলিম্পিক ফাইনালে কঠিন প্রতিপক্ষদের মুখোমুখি হয়েছেন ফরোগি।
২০০৮ বেইজিং অলিম্পিকে এই ইভেন্টে সোনার পদকজয়ী এবং ২০১৬ রিও ডি জেনিরো অলিম্পিকে ব্রোঞ্জজয়ী পাং উয়েই ছিলেন সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। কিন্তু ফরোগি ঠিকই ইরানের হয়ে সবচেয়ে বেশি বয়সে অলিম্পিক পদক জয়ের রেকর্ড গড়ে ফেলেন এই ইভেন্টে।
১৯৫৬ মেলবোর্ন অলিম্পিকে ভারোত্তোলনে ৩৮ বছর বয়সে ব্রোঞ্জ জেতেন ইরানের মাহমুদ নামদাজো। তাঁর গড়া রেকর্ড ভাঙলেন ফরোগি। প্রতিপক্ষের সঙ্গে ৬.৯ পয়েন্ট ব্যবধানে সোনার পদক পেয়েছেন ফরোগি। ফাইনালে শুরুর দিকে ১০ পয়েন্টের রিং নিয়মিত লক্ষ্যভেদ করে বেশ ভালো ব্যবধানেই এগিয়ে যান তিনি। দুটি শট বাকি থাকতে তাঁর লিড ছিল ৪.২ পয়েন্ট। শেষ পর্যন্ত তা ৬.৯ পয়েন্টে উন্নীত করে অলিম্পিক রেকর্ড গড়েন।
All Rights Reserved © Copyright 2024 | Design & Developed by Webguys Direct